সারদা মামলায় নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল, আজ সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দপ্তরে হাজির হলেন কুনাল ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সমন পেয়ে মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
সূত্রের খবর, সারদা কাণ্ডে নতুন তথ্য হাতে এসেছে ইডির। কয়েকদিন আগে সারদায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে সিবিআই। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বেশ কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কুণাল ঘোষকে জেরা করতে চায় ইডি। বাংলায় ভোটের মুখে দলীয় মুখপাত্রকে এভাবে নোটিস পাঠানোর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপির পালটা দাবি, দল কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে প্রভাবিত করে না।
কুণাল ঘোষের দাবি, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে তদন্ত করুক ইডি। ওই চিঠিতে নাম উল্লেখ করে সাফ বলা হয়েছে কোন কোন নেতারা টাকা নিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইন নিজের পথেই হাঁটবে। ২০১৩ সাল থেকে সারদা মামলায় তদন্ত চলছে। আগেও ইডি–কে সাহায্য করেছি। আবারও সাহায্য করব। আগেও অনেক নথি জমা দিয়েছি। আরও একবার নথিপত্র নিয়ে যাব ইডি দপ্তরে।’
