করোনা সংক্রমণ নিয়ে কার্শিয়ংবাসীকে পুর পরিষেবা দিতে ব্যর্থ চেয়ারম্যান। অভিযোগ, পুরকর্মীদের সহযোগিতাও করছেন না। তাই কার্শিয়াং পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল কৃষ্ণা লিম্বুকে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন কাউন্সিলররা। জরুরি বৈঠক ডেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ব্রিগেন গুরুঙের নাম প্রস্তাব করা হয়।
কার্শিয়ং পুরসভায় মোট ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় এখন ১৯ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন কাউন্সিলরই চেয়ারম্যানের অপসারণের পক্ষে মত দেন। তারপরই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ১৭ মে তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়। তাঁকে ১৪দিন সময় দেওয়া হয় চিঠির উত্তর দেওয়ার জন্য। কিন্তু, তিনি কোনও উত্তর না দেওয়ায় ১ জুন জরুরি বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেন সহকারী চেয়ারম্যান ব্রিগেন গুরুং।
এই বিষয়ে প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান ব্রিগেন গুরুং বলেন, ‘১৬ জন কাউন্সিলর উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বাদে সকলেই চেয়ারম্যান অপসারণের পক্ষে ছিল। সকলের একই অভিযোগ করোনা পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে কাজ করেননি চেয়ারম্যান। কাজকর্মেও অসহযোগিতা করেছেন। তাই তাঁকে আমরা সরাতে বাধ্য হলাম।’
কার্শিয়াং পুরসভায় এই মুহুর্তে বিনয় তামাং পন্থী মোর্চার কাউন্সিলরের সংখ্যাই বেশী। চেয়ারম্যান কৃষ্ণা লিম্বুও তাঁর দলেই ছিলেন। কিন্তু, তিনি এখন রাজ্যের শাসকদল তৃণমুলের দিকে ঝুঁকেছেন। আর তাই তাঁকে জোর করে মিথ্যা অভিযোগে সরানো হল বলেই দাবি কৃষ্ণা লিম্বুর। তিনি বলেন, ‘করোনা গত বছর থেকে রয়েছে। এই মহামারী পরিস্থিতিতে আমি রাস্তায় থেকে কাজ করেছি। আইসোলেশন সেন্টার করেছি। আমি অসুস্থ তাই পুরসভায় যেতে পারছি না। সেটা প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়েও দিয়েছি। তারপরেও তাঁরা যেটা করল সেটা অনৈতিক কাজ।’