করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। কয়েকদিন আগে থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। এরপর তাঁর সোয়াব পরীক্ষার করা হয়। রবিবার গভীর রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। দেখা যায়, তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। জ্বরের পাশাপাশি কাশির সমস্যা রয়েছে তাঁর। সমস্যা বাড়লে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই রিপোর্ট আসার পর উদ্বেগ বেড়েছে।
এদিকে গত ১০ আগস্ট মালদার গাজোলে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে কৃষ্ণেন্দুবাবু যোগ দেন। সেই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দুলাল সরকার–সহ জেলা প্রশাসনের বেশ কিছু আধিকারিক। এখন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হতেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাকিদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা, সে বিষয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে আজই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস। ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের পর এবার এগরার তৃণমূল বিধায়কও করোনায় প্রাণ হারালেন। এদিন ভোর ৪টে বেজে ২৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
পরিবার সূত্রে খবর, পাঁচ দিন থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। দু’দিন আগে থেকে তাঁর কাশি শুরু হয়। তারপরই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণের সোয়াব নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। ১৬ অগস্ট মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তিনি নমুনা জমা দেন। রাতেই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে এখন তাঁর শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও উপসর্গ নেই।