The results of the secondary examination are published. This year the pass rate has increased compared to the previous year. The pass rate of female students has also increased. East Midnapore is on top in terms of pass rate. This is the first time that Aritra Pal from East Burdwan has become a medium. Corona did not affect the secondary examination schedule. But it was too late to publish the test results. The results were published 139 days after the test.
ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

মেধা তালিকা ছাড়া প্রকাশ ফল!‌

এইবার উচ্চমাধ্যমিকে সরকারিভাবে কোনও মেধা–তালিকা প্রকাশ করেনি উচ্চমাধ্যমিক সংসদ। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছরের সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৪৯৯। যা পেয়েছেন শাখাওয়াত মেমোরিয়ালের ছাত্রী স্রোতশ্রী রায় বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা। সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, ‘‌এবার কোনও মেধা–তালিকা হচ্ছে না। তবে আজ ফল প্রকাশিত হলেও আজই মার্কশিট হাতে পাচ্ছে না পরীক্ষার্থীরা। ৩১ জুলাই দুপুর ২টো থেকে স্কুল থেকে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। এই বছর ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সাফল্য বেশি। এবারেও বেড়েছে পাসের হার। এবারে পাসের হার ৯০.১২ শতাংশ। গতবার ছিল ৮৬.২৯ শতাংশ।’‌
শেখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লসের এই কৃতী ছাত্রীর ইচ্ছা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার। এছাড়া বাঁকুড়া বড়জোড়া হাইস্কুলের গৌরব মণ্ডল ও অর্পণ মণ্ডল। হুগলির ঐক্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৪৯৯ নম্বর পেয়েছেন। এরপরই রয়েছে, রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের জয় মণ্ডল। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন নরেন্দ্রপুরের ছাত্র নীলাব্জ দাস। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। নব নালন্দার ছাত্র সৈকত দাস পেয়েছে ৪৯৭ নম্বর। বেহালার আদর্শপল্লিতে থাকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ২৭ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষা চলার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই করোনার জেরে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ফলে ২১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়। বাকি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে বাকি পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। পর্ষদ সভাপতি মহুয়া দাস জানান, এরপর ৭ মে থেকে অফিসের কাজকর্ম শুরু হয় ঠিকই। কিন্তু উত্তরপত্র সংগ্রহ করা ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। ১০০টি স্টেশন ও থানায় জমা ছিল সব উত্তরপত্র।
এই বছর জেলাকে টপকে কলকাতার স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে। এছাড়া নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে, নব নালন্দা, যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলও ভাল ফল করেছে। শুক্রবার প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফল। মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার হলেও উচ্চ–মাধ্যমিকে কলকাতার ছাত্রছাত্রীরা এবার ভাল ফল করেছে। এই বছর শেষ তিনটি পরীক্ষা না হওয়ায় মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি।