রাজ্য

করোনা–আবহাওয়া মাতছে তিলোত্তমা

রাত পোহালেই বড়দিন। তবে এবারের উত্সব মরশুম যেন একেবারে আলাদা। করোনার জেরে আটকে গোটা শহর। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মেঘের আনাগোনার ফলে রাজ্যের সর্বত্র তাপমাত্রা বেড়েছে। বেড়েছে কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও।
অনেকেই মনে করেছিলেন, শীতের দাপট নষ্ট করতে পারে বড়দিনের আনন্দ। সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবারই তাপমাত্রার পারদ পৌঁছেছে প্রায় ১৫ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। জেলাগুলির তাপমাত্রাও সামান্য বেড়েছে। বছর শেষে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করতে ১৪–১৫ ডিগ্রির আশেপাশেই।
তবে এবারও শহরে ক্রিসমাসের আনন্দে ভাঁটা নেই। কেকের গন্ধ ও সান্টাক্লজের আগমনীর অপেক্ষায় মশগুল শহরবাসী। একইসঙ্গে প্রশাসনও প্রতিবারের মতো নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক। এবার অবশ্য পার্ক স্ট্রিট চত্ত্বরে ভিড় কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্সবের আনন্দে নিরাপত্তার দিকও নজর রাখতে হবে, তাই কড়াকড়ি। আজ থেকেই তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং করবে কলকাতা পুলিশ। পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। আজ রাত ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি চলবে। এছাড়া শহরে বিভিন্ন জায়গায় যানজট সামলাতেও পরিকল্পনা করেছে পুলিশ।
আর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে গোটা রাজ্যের বায়ুমণ্ডলে এদিন মেঘ ঢুকে গিয়েছে। ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে এটা খুবই সাময়িক একটা ব্যাপার। শুক্রবার থেকেই তাপমাত্রা ফের কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে উত্তুরে হাওয়ার দাপট ফের বাড়তে পারে। এর ফলে শনিবার থেকে ফের তাপমাত্রা ১১–১২ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে। আন্দামান ও নিকোবরে সপ্তাহান্তে হতে পারে বৃষ্টি।