বড়সড় ধাক্কার মুখে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ২০০ বার ই-মেইল করে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় আবেদন করেও সুরাহা মেলেনি। তথ্য জেনে অবাক হাইকোর্ট বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। মালদহের গ্রাহকের টানা ৪ বছর ধরে হেনস্থায় ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট৷
আদালত জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দিন থেকে পুনরায় সংযোগ জুড়ে দেওয়ার দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এর নির্দেশ, মালদহ হরিশ্চন্দ্রপুরের সুকান্ত সিংহকে দিতে হবে ৬০৭০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ। ৪ মার্চ ২০২২ এর মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মালদহ হরিশ্চন্দ্রপুরের সুকান্ত কুমার সিংহ ২ টি বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। একটি বাণিজ্যিক সংযোগ যা দিয়ে পোলট্রি ফার্ম চালাতেন। দ্বিতীয় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল বাড়ির। ২০১৭ সালের বন্যায় পোলট্রি ফার্ম নষ্ট হয়ে যায়। আঠার হাজার টাকা বকেয়া বিল দেখিয়ে বাণিজ্যিক সংযোগ কেটে দেয় বণ্টন সংস্থা । শুধু তাই নয় কোনও কারণ ছাড়াই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেয় বন্টন সংস্থা।
এরপর বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় ২০০ ই-মেইল করেও বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কাটার কোনও উত্তর পায়নি সুকান্ত সিংহ।৪ বছর ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে তাঁর বাড়ি। বিদ্যুৎ দফতরের সংশ্লিষ্ট GRO এবং ন্যায়পালে আইনি লড়াই পৌঁছয়। ন্যায়পাল বিদ্যুৎ সংযোগ জুড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। সেই মামলার সাম্প্রতিক সময়ের নজিরবিহীন রায় দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।