ফের বণিকসভায় অপরিকল্পিত বক্তব্য পেশ প্রধানমন্ত্রীর। আকাশকুসুম কল্পনা চিরাচরিত ভাবভঙ্গিতে আউড়ে গেলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমার বিশ্বাস গোটা দেশকে আবার নেতৃত্ব দেবে কলকাতা। এক সময়ে স্বামী বিবেকানন্দই দেশে প্রস্তুত দ্রব্যের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার বাণী দিয়েছিলেন।’ ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের ৯৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই কল্পনাই প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরো দেশকে আত্মনির্ভর করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি বলেন, ‘এই সভা এমন একটা সময় হচ্ছে, যখন দেশ একাধিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা তো রয়েছেই, তার সঙ্গে পঙ্গপাল, অসমে তৈলক্ষেত্রে আগুন, কিছু এলাকায় ভূমিকম্প, দু’টো ঘূর্ণিঝড়— অনেক সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যার সঙ্গে দেশবাসী এক হয়ে লড়ছে।’ তিনি জানান, আর্থিক ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। কয়লা ও খনির ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় এগিয়ে আসতে আগ্রহী করা হয়েছে।
বণিকসভায় মানসিকভাবে না হেরে দৃঢ় সঙ্কল্প নিয়ে ও ইচ্ছাশক্তির জোরেই আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কঠিন সময় পার করেই ভাল সময়ে ফিরব। কৃষি নীতির সংশোধনের ফলে বছরের পর বছরের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবেন কৃষকরা। এসেনসিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্টের সংশোধনের মাধ্যমে চুক্তিচাষের দ্বারা এবার থেকে সরাসরি কৃষি ও শিল্প এক সূত্রে যুক্ত হবে। এবার থেকে কৃষকরা যেখানে খুশি তাঁদের উত্পাদন বিক্রি করতে পারবে। এর ফলে, তাঁদের লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।’ ভারত এখন আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। বিপদকে আমরা সুযোগে পরিণত করব। লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই ভারত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
কলকাতাই দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে, বণিকসভায় এমন কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বাংলা যা আজ ভাবে, গোটা ভারত আগামীকাল সে কথাই ভাবে। আমরা এই কথা বরাবর শুনে এসেছি। তাই বাংলাকে এগিয়ে আসতে হবে। উদ্যোগপতিদের এগিয়ে আসতে হবে। আমি মনে করি, কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ আবারও দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। আমি মনে করি, কলকাতা আবার এক বৃহৎ নেতৃত্ব প্রদানকারী হতে পারে। ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ পূর্ব ভারতকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে কলকাতা।’
