বুধবার সকালে পাটুলি থেকে উত্তর–পশ্চিম দিকে পরিষ্কার দেখা গেল দ্বিতীয় হুগলি সেতু। লকডাউনের কারণেই অনেক মানুষই জেরবার। তাঁরা হয়তো বুঝতেও পারছেন না কীভাবে এই লকডাউনটা আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। কারণ
‘বিশ্বের সব থেকে কম দূষিত শহর’–এর তকমাটি কলকাতার মুকুটে উঠল। আর সে কারণেই আড়াই দশক পর পাটুলি থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দেখা গেল।
ভাবতে অবাক লাগে যে, এই সেই কলকাতা যেখানে কালীপুজো আর দীপাবলির সময়ে বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহর হওয়ার অন্যতম দাবিদার হয়ে ওঠে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের দূষণের হিসেব দেয় মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ‘বিশ্বের সব থেকে দূষিত শহর’–এর পরিসংখ্যানে কলকাতার স্থান ছিল সবথেকে শেষে। অর্থাৎ কলকাতার দূষণ তখন বিশ্বের সব শহরের দূষণের থেকে কম।
জানা গিয়েছে, ওই মুহূর্তে বাতাসের মান সংক্রান্ত সূচক বা একিউআই ছিল ৪। কলকাতার একিউআই স্বাভাবিক দিনেই থাকে ২০০–এর ওপরে। আর কালীপুজোর সময়ে সেটা বেড়ে ৭০০–৮০০ উঠে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, একিউআই ২০০–এর ওপরে উঠে গেলেই সেটা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য হয়। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমছে দূষণের মাত্রা। কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এদিনের ভোরের কালবৈশাখী ও প্রবল বৃষ্টি বাতাসে দূষণের মাত্রা আরও কমিয়ে দেওয়ার পেছনে বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
