শীতকালে যদি মটরশুঁটি না খান তাহলে শীতকালের সবজি খাওয়ার মজাটাই তো মাটি হয়ে গেল আপনার। শীতকালে বাঙালির সব ধরনের খাবারের মধ্যে থাকবেই মটরশুটি। সে ডাল, সবজি হোক কিংবা মাংস। বাঙালির নানা রান্নাতে মটরশুঁটির অবাধ যাতায়াত। আর শীতের মরশুমে মটরশুঁটির কচুরি তো দারুন জমে। সঙ্গে যদি থাকে ছোট আলুর দম তাহলে তো কোন কথাই হবে না। জেনে নিন মটরশুঁটির গুনাগুন –
• মটরশুঁটির অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের টক্সিন দূর করে। পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায় মটরশুঁটি।
• রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলকে জমতে না দিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে এই সব্জি। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রয়েছে।
• মটরশুঁটি খেলে ত্বক পরিষ্কার থাকে। মটরশুঁটি থেকে প্রচুর প্রোটিন মেলে। তাই ওবেসিটির রোগীদের ফুল প্রোটিন ডায়েটে মটরশুঁটি অন্যতম উপাদান।
• রোজকার খাবারে কড়াইশুঁটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ভিটামিন K-এর পরিমাণ এতটা বেড়ে যায় যে হাড়ের শক্তিও বাড়তে শুরু করে।
• মটরশুটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। মটরশুঁটিতে অ্যামিনো অ্যাসিডের ৯টি ব্লক থাকে। একইসঙ্গে মটরশুঁটিতে উপস্থিত নানাবিধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। তাই দিনে এক কাপ মটরশুঁটি নিশ্চিন্তে খেয়ে নিতে পারেন আপনি।