আঙুর ফলের শুকনো রুপই হল কিশমিশ। যা তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আঙ্গুরে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। যেমন, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নিয়াসিন, কপার, জিঙ্ক ইত্যাদি। কিশমিশ দেহের নানান রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই খাদ্য তালিকায় রোজ কিশমিশ রাখতে পারেন।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে যা দেহের রক্তশূণ্যতার জন্য দারুণ উপকারি। এছাড়া রক্ত ও লোহিত কণিকা তৈরি জন্য দরকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও কপার। যা কিশমিশে ভাল পরিমাণে থাকে। এককাপ কিশমিশ ৬মি.গ্রা. লৌহের যোগান দেয়, যা প্রতিদিনের লৌহের চাহিদার ১৭ শতাংশ পূরণ করতে পারে।
নিয়মিত কিশমিশ খেলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। পাশাপাশি কিশমিশে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি-রেডিকেলস ধ্বংস করে চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
কিশমিশ শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।কিশমিশে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম শরীরে রক্তচাপ বাড়ায়।কিশমিশ শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে কিশিমিশ। শরীরের মধ্যে নানাভাবে বিষক্রিয়া শুরু হলে কিশমিশ খেতে পারেন। তাতে ভাল উপকার পাবেন।
হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কিশমিশ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাত্রে শোওয়ার সময় এক গ্লাস জলে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই জলটি পান করুণ।