মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে গোটা দেশ জুড়ে। এই দিন চার পহরে চার বার পূজা করা হয় বাবা মহাদেবকে।
এবারে মহা শিব চতুর্দশীর তিথি সন্ধ্যা ৬:০৫ মিনিট থেকে পরের দিন দুপুর ৩:০৮ পযন্ত থাকছে। যদিও বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পুঞ্জিকা মতে মহা শিব রাত্রিত তিথি রাত ৮:০৩ মিনিট থেকে পরের দিন বিকাল ৪:১৯ পর্যন্ত থাকবে।
প্রথম প্রহরের পূজা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট থেকে পর্যায়ক্রমে তিন ঘন্টা ছাড়া ছাড়া বাকি তিন প্রহরের পূজা হবে।যেহেতু এক প্রহর সমান তিন ঘন্টা সময় ধরা হয়ে থাকে। মহা শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই পালন করেন শিবের ব্রত এবং উপবাস।
মূলত পরিবার পরিজন, সন্তানের শুভ কামনায় বিশেষ উপবাস ও বিশেষ উপাসনা ও রীতি মেনে ভক্তরা পূজা করেন মহাদেবের। স্কন্দ পুরান অনুযায়ী, আজকের দিনে শিব পার্বতীর বিবাহ সম্পূর্ন হয়েছিল যদিও স্কন্দ পুরান থেকে এটাও জানা যায় যে বিষ্ণু ও ব্রম্ভার মধ্যে যুদ্ধ লাগে যে তাদের মধ্যে কে বড়। যখন এই নিয়ে যুদ্ধ আসন্ন সেই সময় দুজনের সামনে জোত্যির্লিঙ্গ রূপে সামনে আসেন মহাদেব। সেই জোত্যির্লিঙ্গ থেকে দৈব বাণী ভেসে আসে আদি অন্ত যে খুঁজে পাবে সেই বড়। যেদিন এই জোত্যির্লিঙ্গ প্রকট হয়েছিল সেই দিন কেই শিবরাত্রির দিন বলা হয়।
অন্যদিকে শিবমহাপুরাণ মতে সমুদ্র মন্থনের সময় কালকূট বিষ কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন মহাদীদেব। কালকূট পান করার পর সমস্ত দেবতারা সারা রাত জেগে মহাদেবকে জাগিয়ে রেখেছিলেন সেইদিনকেই শিব রাত্রি বলা হয় বা পালন করা হয়।
সনাতন ধর্মের উপবিভাগে যত ধর্ম আছে সকলেই মহাদেবকে উচ্চস্থানে রেখে পূজা করেন অর্থাৎ সব দেবতার মহাদীদেব বলা হয় বাবা মহাদেবকে। শিবরাত্রি উপলক্ষে তারকেশ্বর মন্দিরে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তরা ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।