দেশ লিড নিউজ

উত্তরবঙ্গে বড় নাশকতার ছক কষছে কেএলও

উত্তরবঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কামতাপুর লিবারেল অর্গানাইজেশন (কেএলও)। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা জীবন সিং নাশকতার হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করছেন। জোট বাঁধছে উত্তরবঙ্গে নবগঠিত সংগঠন গ্রেটার কোচবিহার লিবারেশেন অর্গানাইজেশনও। এই আবহেই নতুন ক্যাডার নিয়োগ থেকে শুরু করে অস্ত্র সংগ্রহ করেছে কেএলও। অভিযোগ, অস্ত্র আনতে চিনের মদতও পাচ্ছে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন। ব্যবসায়ীদের কাছে তোলা চেয়ে ফোন যাচ্ছে কেএলও প্রধানের। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, অস্তিত্ব জাহির করতে এবার উত্তরবঙ্গে বড় নাশকতা করাই লক্ষ্য কেএলওর।

সূত্রের খবর, কেএলও চিফ জীবন সিং মায়ানামারের রাখাইনে বসে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখভাল করেছেন। ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রত্যেক ক্যাডারের ইন্টারিভঊ নিয়েছেন। নয়া নিযুক্ত তরুণদের প্রত্যেকের গড় বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এই দলে অসমের কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাঁও, গোঁসাইগাঁওয়ের পাশাপাশি কোচবিহারের কিছু তরুণও রয়েছে বলে খবর। গোয়েন্দারা বলছেন, গত বছর মে মাসে এভাবেই একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল কেএলও।
এদিকে, নাশকতার হুমকি দিয়ে কেএলও প্রধানের পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজের পর তাতে কেএলও এবং জীবন সিংয়ের জয়গান থেকে শুরু করে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করা হয়েছে। কারা এই পোস্টগুলি সমর্থন করে কেএলওর জয়গান করছে, তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, নাশকতার লক্ষ্যে কেএলও ধাপে ধাপে এগচ্ছে। অস্ত্র ভাণ্ডারকে মজবুত করতে জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (আইএম)-এর কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে।

অন্যদিকে গোয়েন্দারা বলছেন, চলতি বছরের গত ২ মার্চ অস্ত্রশস্ত্রের প্রথম কনসাইনমেন্টটি চিনের কুনমিং হয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, তারপর মায়ানমারের রাখাইনে পৌঁছেছে। কুনমিং থেকে অস্ত্র প্রথমে আসে মায়ানমার লাগোয়া বাংলাদেশের মোনাখালি সমুদ্রতটে। সেখান থেকে দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা ও জঙ্গলের পথ ধরে তা পৌঁছয় পার্বত্য চট্টগ্রামের থানচি। এরপর মিজোরাম লাগোয়া পারভা হয়ে রাখাইনের জঙ্গলে এনএসসিএন (আইএম)–এর ক্যাম্পে।

কনসাইনমেন্টের সমস্ত অস্ত্রই চিনের অস্ত্র কারখানা ‘নরিনকোর’ তৈরি। এনএসসিএন (আইএম)-এর কাছ থেকে ওই কনসাইনমেন্টের একটি অংশ কিনেছে কেএলও। যার মধ্যে রয়েছে এম ১৬ রাইফেল, চাইনিজ পিস্তল, টি ৫৬ (ওয়ান) সাব মেশিন গান, সেমি অটোম্যাটিক নাইন এমএম পিস্তল, টি ৬৯ রকেট লঞ্চার।