নির্মম–নিষ্ঠুর বললেও কম বলা হয়। ৯ বছরের শিশুকে অপহরণ করে মক্তিপণ দাবি করেছিল তারা। আর তা না পেয়ে খুন করল শিশুটিকে বলে অভিযোগ। বেদনাদায়ক ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের গলসির সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পুলিশ তদন্তে নেমে কিছু করতে পারেনি বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বুদ্ধদেব দলুইয়ের ৯ বছরের শিশুপুত্র সন্দীপকে অপহরণ করা হয়েছিল। সাঁকো গ্রামে মনসা পুজো ছিল। তাই বাড়ির কাছেই সন্দীপ মনসা মন্দিরে যায়। তারপর থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না। গোটা পাড়ায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও সন্দীপের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখন পুলিশকেও জানানো হয়েছিল। শিশুটির বাবা বুদ্ধদেব দলুইয়ের মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা। তখন ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরে মুক্তিপণের টাকার পরিমাণ কমানো হয়।
সূত্রের খবর, দ্বিতীয়বারও ফোন করা হয়েছিল। তবে তখন ৩ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। হুমকি দেওয়া হয় পুলিশ বা প্রতিবেশীদের জানালে শিশুকে মেরে ফেলা হবে। পরিবার গোটা বিষয়টি গলসি থানায় জানায়। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরী করে দেয় পুলিশ। গলসি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে একজনকে আটক করতেই শুত্রুবার সাতসকালে ডিভিসি’র সেচ খালের জল থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় সন্দীপ দলুইয়ের নিথর দেহ।
ঘটনার সমাপ্তির পর গলসি থানার পুলিশ সাঁকো মেটেপাড়া এলাকার তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম সুব্রত মাঝি ওরফে বাদশা, জয়ন্ত বাগ ওরফে নিরঞ্জন, মঙ্গলদীপ দলুই ওরফে বাবু। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।