রাজ্য

একবছরে ১৭ টাকা বাড়ল কেরোসিনের দাম

রান্নার গ্যাসের চড়া দামের পাশাপাশি প্রতি মাসে কেরোসিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি আগস্ট মাসে যে ইস্যু প্রাইস নির্ধারণ করেছে তার ভিত্তিতে কলকাতা ও সল্টলেকে লিটারে ১ টাকা ৪৪ পয়সা দাম বাড়ছে। রাজ্য খাদ্যদপ্তর রেশনে বিক্রির কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৪৫ টাকা ২২ পয়সা ধার্য করেছে। জুলাই মাসে এটা ছিল ৪৩ টাকা ৭৮ পয়সা। কেরোসিনের নিয়মিত বর্ধিত মূল্যের পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, গত একবছরের মধ্যে দাম বেড়েছে লিটারে প্রায় ১৭ টাকা।

২০২০ সালের আগস্টে কলকাতায় রেশনে প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ছিল ২৮ টাকা ৬৬ পয়সা। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি প্রতি মাসে কেরোসিনের বেসিক প্রাইস নির্ধারণ করার পর তার সঙ্গে ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন, ৫ শতাংশ হারে জিএসটি, পরিবহণ খরচ প্রভৃতি যুক্ত করে রাজ্য খাদ্যদপ্তর রেশনে কেরোসিনের দাম নির্ধারণ করে। তেল সংস্থার ডিপো থেকে পরিবহণ খরচের পার্থক্য থাকার জন্য বিভিন্ন জেলায় রেশনে কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবেশি হয়।
গত বছরের মে মাসে লিটারে দাম কমে ১৬ টাকার আশপাশে চলে আসে। তারপর থেকে প্রায় প্রতিমাসে দাম বেড়েছে। ওয়েস্টবেঙ্গল কেরোসিন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক গুপ্ত জানান, কেন্দ্র যেভাবে দাম বাড়াচ্ছে তাতে গরিব মানুষ রেশনেও কেরোসিন কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। উজ্জ্বলা প্রকল্পে রান্নার গ্যাস পেয়েও অনেকে কিনতে পারছেন না।

কেরোসিনও তাঁদের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে! গরিব রান্নাঘরে ঘুঁটে-কয়লাই ফিরে আসছে। প্রত্যন্ত গ্রামে ফিরছে কাঠে রান্না। ফলে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রায় ১০ কোটি ৩০ লক্ষ রেশন গ্রাহকের জন্য কেরোসিন বরাদ্দ করা হয়। ৯ কোটির কাছাকাছি ডিজিটাল রেশন কার্ডের গ্রাহক মাসে মাথপিছু ৫০০ মিলি করে পান। কিছু বিশেষ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য মাসে মাথাপিছু ১ লিটার কেরোসিন দেওয়া হয়। তাঁদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১২ লক্ষ। অল্প কিছু নন-ডিজিটাল গ্রাহকের জন্য বরাদ্দ এখন মাথাপিছু দেড়শো মিলি।