আন্তর্জাতিক

ইজরায়েলে রকেট হানায় নিহত কেরলের মহিলা

আচমকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইজরায়েল–প্যালেস্তাইন। আর এই পরিস্থিতির শিকার হতে হল এক ভারতীয়কে। মঙ্গলবার প্যালেস্তাইনের দিক থেকে একটি রকেট আছড়ে পড়ে ৩১ বছর বয়সের সৌম্যার বাড়িতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। আসলে ইজরায়েল–প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
ইজরায়েল–অধিকৃত গাজা ভূখণ্ড এবং জেরুসালেমের একাংশে হঠাৎই হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনি জঙ্গিরা। ছুটে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট। তবে বিশেষ প্রযুক্তিতে অধিকাংশ রকেটের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা আটকানো গিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ইজরায়েলও। মঙ্গলবার সকালেও জারি ছিল সেই সংঘর্ষ।
ইজরায়েলের আশকেলন শহরে পরিচারিকার কাজ করতেন সৌম্যা। মঙ্গলবার বিকেলে যখন ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে তখন তিনি তাঁর স্বামী সন্তোষের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। কেরলের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্বামী। সন্তোষের ভাই শাজি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‌আমার ভাই ভিডিও কলে কথা বলতে বলতেই আচমকা বিকট একটা আওয়াজ শুনতে পায়। তার পরেই ফোন কেটে যায়। তারপর আমরা ওখানকার আরও কিছু মালায়ালির সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ব্যাপারটা জানতে পারি।’‌
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জন প্যালেস্তাইনি নিহত হয়েছেন। সোমবার ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে ৯ জন ছিল শিশু। ইজরায়েলি সেনার অবশ্য দাবি, হামলাকারী হামাস জঙ্গিদের উদ্দেশ্যেই ওই আক্রমণ হেনেছে তারা। ইজরায়েল সরকারের মতে, ২০১৪ সালের যুদ্ধের পরে এত বড় হামলা আর হয়নি। আতঙ্কিত গাজাবাসী বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন। প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
জানা গিয়েছে, কেরলের ইদুকি জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা সৌম্যা গত ৭ বছর ধরে ইজরায়েলে পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর নিহত হওয়ার ঘটনা কার্যত গোটা ভারতকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে। বিদেশিদের এভাবে মৃত্যু হওয়ায় মুখ পুড়েছে ইজরায়েলেরও। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ কেরলের শাসকজোটের বিধায়ক মণি সি কাপ্পান। ফেসবুকের একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‌এই মুহূর্তে ইজরায়েলের অন্তত হাজার জন মালায়ালি কাজ করছেন। তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন।’‌