ইয়াসের ল্যান্ডফলের পরই প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল সুন্দরবন জঙ্গলেও। হাওয়ার দাপট ছিল প্রবলভাবে। গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়ল বাঘ। আতঙ্ক ছড়িয়েছে কুলতুলির মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকায়। জাল ও ঘুমপাড়ানি বন্দুক নিয়ে রওনা দিয়েছেন কুলতলি বিট অফিসের বনকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রে জল বেড়ে ভাসল কপিলমুনির আশ্রম।
গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রম কার্যত জলের তলায়। সকাল পর্যন্ত আশ্রমেই পড়ে ছিলেন তাঁরা। কোনওরকমে আশ্রম ছাড়তে রাজি ছিলেন না তাঁরা। কিন্তু ধামরায় ল্যান্ডফলের পরই বাড়তে শুরু করে সাগরের জল। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হতে থাকে। শেষমেশ প্রশাসনের তরফে দ্রুত তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কপিলমুনির মন্দিরের প্রায় অর্ধেক অংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। জল ঢুকেছে মন্দিরের ভিতরেও। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস থাকায় ভেসেছে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। সমুদ্রের নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষ জমি। ভেসে গিয়েছে বহু মানুষের বসত বাড়ি। আগেই ওই এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সমুদ্রের জল ঢুকে কার্যত আশ্রম। মরিয়া হয়ে আশ্রয়ের খোঁজ করছে গবাদি পশু থেকে গরু। ইতিমধ্যেই ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। জলে ডুবে যায় বুল ডোজারও। কাকদ্বীপেও প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। শেষং পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভেঙে গিয়েছে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধও। সন্দেশখালি, গোসাবা, কুলতলিতে বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মহেশতলার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের উলুডাঙ্গায় হুগলি নদীর বাঁধে ভাঙন ধরেছে। ফলে জল ঢুকতে শুরু করেছে ইটখোলায় । ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টা এলাকায় প্রবল গতিতে গ্রামে জল ঢুকেছে।
