বিদ্রোহের আগুন কংগ্রেসের অন্দরে জ্বলছিলই। তাতে ঘি ঢালল বিহার বিধানসভা ও একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল। দলের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী নেতা কপিল সিব্বল। কয়েক মাস ধরেই নেতৃত্ব বদলের জন্য সরব সিব্বল ফের সেই দাবি করলেন। কংগ্রেসের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছেন সিব্বল। দলীয় সংগঠনের পুনর্মূল্যায়ন, অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা, শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব বদলের মতো একাধিক দাবি তুলেছেন তিনি। কাঠগড়ায় তুলেছেন নেতৃত্বের গা ছাড়া মনোভাবকেও।
এদিন হারই কংগ্রেসের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। বিশেষ করে ভোটপ্রচারের সময় রাহুল গান্ধী সিমলায় ছুটি কাটাতে যাওয়ার বিষয়টি ভালভাবে নিতে পারেনি কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মী ও জোটসঙ্গীরা। এবার পরোক্ষভাবে সেই গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন আইনজীবী নেতা কপিল সিব্বল। বিহারের ভোটে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের নিয়ে গঠিত হওয়া মহাজোটে সব থেকে খারাপ ফল করেছে কংগ্রেসই। ৭০টা আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছে মাত্র ১৯ আসনে।
একটি ইংরেজি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক, সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা, যাঁদের কথা মানুষ শুনতে চায়, তাঁদের তুলে আনা, সক্রিয় নেতাদের কাজে লাগানোর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের নানা সংস্কারের কাজ করতে হবে।’ কংগ্রেস নিয়ে সিব্বলের খোলামেলা পর্যবেক্ষণ, ‘কংগ্রেসের এখন আর সেই আগের মতো ক্ষমতা নেই। এখন আর এমন অবস্থা নেই যে, অন্যরাই দলের কাছে আসবে। তাই কংগ্রেসকেই সবার কাছে যেতে হবে। আমাদের জোটের প্রয়োজন। দলে মতপ্রকাশ, আলোচনার আর কোনও স্থান নেই। তাই সমংবাদমাধ্যমের কাছেই মুখ খুলতে হচ্ছে।’