জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার। এখন তাঁকে ব্রিগেড সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত সিপিআইয়ের বঙ্গ শিবির। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম–কংগ্রেস জোটের যৌথ ব্রিগেড। এবারের ব্রিগেডের মুখ কে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উপস্থিতির কোনও সম্ভাবনা নেই। রাহুল গান্ধীর আসার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কী কানহাইয়া কুমার মঞ্চ আলো করবেন? উঠছে প্রশ্ন।
সিপিআই সূত্রে খবর, কানহাইয়া কুমারের জ্বালাময়ী ভাষণ শোনার আব্দার জমা পড়েছে। দলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে কানহাইয়াকে আনার তীব্র দাবি উঠেছে। তবে নিমরাজি তাত্ত্বিক নেতারা। তাঁদের দাবি, বিহারের নেতা বাংলার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ততটা জানেন না। সেক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফায়ার হতে পারে। সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৈকত গিরির কথায়, ‘কানহাইয়া হলেন বাড়তি অক্সিজেন। আমরা তাঁকে চাই। তবে বামফ্রন্টের বৈঠকে বক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত হবে।’ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কানহাইয়া কুমার, ঐশী ঘোষের মতো তরুণ নেতাদের সমর্থনে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে।
বিহারে সিপিআইয়ের মুখপত্রের দপ্তরে ভাঙচুর চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দলের নেতা ইন্দু ভূষণকে মারধরের ঘটনাতেও কাঠগড়ায় তিনি। ইতিমধ্যে তাঁকে সতর্ক করে সেন্সর করেছে জাতীয় পরিষদ। তরুণ নেতার জবাবও দলের সর্বোচ্চ কমিটিতে গৃহীত হয়নি। দলের নিদানে আপাতত ছ’মাস কার্যত নির্বাসনে কানহাইয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে শেষ মুহূর্তে ব্রিগেডে আসতে পারেননি কানহাইয়া। এই নিয়ে দলের রাজ্য পরিষদে এখনও অসন্তোষ রয়েছে। জাতীয় পরিষদের বৈঠকে কানহাইয়ার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ১০৭ জন সদস্য। রাজ্য পরিষদের নেতা প্রবীর দেবের কথায়, ‘কানহাইয়া কুমারের মতো সুবক্তাকে ব্রিগেডে প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অবশ্যই ব্রিগেডে তাঁকে চাই। সেই চেষ্টা থাকবে।’
