বিনোদন

বাবাকে চড় মারতে চেয়েছিলেন কঙ্গনা

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত স্পষ্টভাষী এবং ঠোঁটকাটা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। যে কোনো ইস্যুতে তাকে মোটা গলায় কথা বলতে দেখা যায়। অন্যায় বা নারী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে তিনি কুড়িয়েছেন প্রশংসা। কিশোরী বয়স থেকে স্বভাবে তিনি ঘরেও এই রকমই। নিজেকে বদলাতে পারবেন না কখনো, জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।

পাঙ্গা অভিনেত্রী একবার জানিয়েছিলেন, স্কুল যেতে মানা করায় তার বাবা অমরদ্বীপ রানাওয়াত তাকে চড় মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন। সে সময় বাবার সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, তাদের সম্পর্ক সেই দিনই শেষ হয়ে গিয়েছিল যেদিন তার বাবা হাত তোলার চেষ্টা করেছিল।

কঙ্গনার বক্তব্য ছিল, ‘যদি তুমি আমাকে চড় মারো, তবে আমিও তোমাকে চড় মারব’।

এখন কঙ্গনার জীবনে অনেকটাই বদল এসেছে। একসময় তার পরিবার তাকে অবাঞ্ছিত শিশু বলে অবজ্ঞা করতেন। এখন চার বার আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কার জিতে পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, পরিবারের প্রথম সন্তান হওয়ার জন্য তার দিদি রাঙ্গোলি চান্দেলের জন্মর সময় গোটা পরিবার উদযাপন করেছিলেন। তার আগে তাদের দশ দিনের পুত্র সন্তান মারা গিয়েছিল। যাই হোক, কঙ্গনা বাড়ির দ্বিতীয় কন্যা সন্তান হওয়ার দরুন, সেটা কোনো উদযাপনে পরিণত হয়নি।

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, ‘আমি যখন জন্মেছিলাম, আমার বাবা-মা, বিশেষ করে আমার মা, কোনো মতেই মেনে নিতে পারছিলেন না দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হয়েছে। এই গল্পগুলো আমি বেশি করে জানি কারণ, প্রত্যেকবার বাড়িতে যখন কোনো অনুষ্ঠান হত অথবা সবাই এক জায়গায় সামিল হত, এই গল্পটাই বারবার বলত, যে আমি পরিবারের অবাঞ্ছিত মেয়ে’।

কঙ্গনার বাবাও নিশ্চিত করেছিলেন যে, অভিনেত্রীর জন্মের পর তারা হতাশ হয়েছিলেন। কারণ তারা আশা করেছিলেন যেহেতু তারা একটি পুত্রকে হারিয়েছেন, তাই অপর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হবে। তবে, এখন তিনি তার কন্যা সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং তিনিই হিমাচল প্রদেশ সরকারকে তার সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন, যেই দাবি কেন্দ্রকে মেনে নিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের সিনেমার জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ৬৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। সেখানে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন কঙ্গনা।