বিনোদন ব্রেকিং নিউজ

কঙ্গনার বিজেপি যোগে গুঞ্জন

গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত?‌ এটাই এখন জাতীয় রাজনীতিতে এবং বিনোদনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ শিবসেনার সঙ্গে তাঁর সংঘাতে উত্তাল মহারাষ্ট্র–সহ গোটা দেশ। কঙ্গনার পক্ষে–বিপক্ষে বিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া, বলিউড এবং দেশের রাজনীতিও। আর তখনই জোর জল্পনা কুইন অভিনেত্রীর গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিয়ে।
কঙ্গনার সমর্থনে বিজেপি’‌র একটি পদযাত্রায় অংশ নিয়ে তাঁর মা আশাদেবী মেয়েকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যেভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খোলামেলা প্রশংসা করেছেন, তাতে জল্পনা–গুঞ্জন জোরালো হয়েছে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সপরিবার বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কঙ্গনা। তাঁরা এমনই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন।
মানালির ভাম্বলা গ্রামে বিজেপি’‌র এক পদযাত্রাতেও অংশ নিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতের মা বলেন, ‘‌আমরা কংগ্রেসী পরিবার হওয়া সত্ত্বেও অমিত শাহ আমার মেয়েকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। মোদীজিকেও অনেক ধন্যবাদ।’‌ কঙ্গনার দাদু সরযূ রাম ছিলেন হিমাচলপ্রদেশের মান্ডির গোপালপুরের কংগ্রেস বিধায়ক। হিমাচল প্রদেশের বিজেপি’‌র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কঙ্গনা রানাওয়াতকে দলে পেতে সক্রিয়তা শুরু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
একটি ভিডিও ক্লিপে আশাদেবীকে বলতে শোনা গিয়েছে, কঙ্গনাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মুম্বইয়ে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, তা আমি কল্পনা করতে পারি না। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে তাঁকে তুইতোকারি করে ভিডিও–বার্তা দিয়েছিলেন কঙ্গনা। আবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নাম জড়িয়ে শিবসেনাকে সোনিয়া–সেনা বলেও তোপ দেগেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অঠাওয়ালের একটি মন্তব্যও এই জল্পনায় নতুন ইন্ধন জুগিয়েছে। তিনি মুম্বইয়ে অভিনেত্রীর বাড়িতে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘‌দাউদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না বৃহন্মুম্বই পুরসভা। মুম্বইয়ে ৫২ হাজার অবৈধ বাড়ি রয়েছে। ফলে কঙ্গনার সঙ্গে পুরসভা যে আচরণ করেছে, তা এক কথায় নিন্দনীয়। কঙ্গনা পুরসভার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করুন। বিজেপি কঙ্গনাকে কোনও সমর্থন দেয়নি। তবে বিজেপিতে যোগ দিলে কঙ্গনা লাভবান হতে পারেন। তাঁকে রাজ্যসভার একটা আসন দিতে পারে বিজেপি।’‌