আন্তর্জাতিক

ফের কান্দাহার দখল নিল তালিবান

থমথমে পরিস্থিতি আফগানিস্তানে৷ কারণ আফগানিস্তানের মূল অঞ্চল দখলের পর তালিবান যোদ্ধারা এখন কান্দাহারেও প্রবেশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে কান্দাহার কনস্যুলেট থেকে প্রায় ৫০জন ভারতের কৃটনীতিক ও অন্যান্য কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তাদের আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হল।

তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে লস্কর–ই–তৈবা জঙ্গিরাও। আফগান সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৭০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানান, চলতি বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগে ছিল বিদেশমন্ত্রক। এখনই কাবুল, কান্দাহার এবং মাজার-এ-শরিফে ভারতীয় কনস্যুলেট ও দূতাবাস বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই৷ তবে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি উপর নজর রাখা হচ্ছে৷

ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দিকটিও বিশেষ নজরে রাখা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‌পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা যথাযথ পদক্ষেপ করব।’‌ গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে চলছে জঙ্গি হামলা৷ সেখান থেকে পুরোপুরিভাবে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হবে আগস্ট মাসের শেষে৷ দু’দশক পরে মার্কিন সেনা মুক্ত হবে আফগানিস্তান৷ আর এর সুযোগেই শুরু হয়েছে জঙ্গি হামলা৷

এরপরই আজ সকালে জানা যায়, কান্দাহারে তালিবানি জঙ্গিরা প্রবেশ করায় ও বহু অঞ্চলের বাসিন্দাদের পণবন্দি বানিয়ে নোওয়ার ঘটনা জানতে পেরেই ভারতের তরফে সেখানে বসবাসকারী ৫০ জন কূটনীতিবিদ ও অন্যান্য কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত তীব্র লড়াই গুলির লড়াই অব্যাহত ছিল। আফগান সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে প্রায় ৭০জন তালিবান জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে৷ প্রায় ২ হাজার পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছিল এবং তারা কান্দাহারের অন্যান্য অংশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কান্দাহার আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। কৌশলগত এবং ব্যবসায়ের দিক থেকে এটি দীর্ঘকাল ধরে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কান্দাহার ছিল তালিবানদের সদর দফতর।

আফগান রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজ়াভ বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলাকে সেখানের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানান। এরপরই কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, এখনই কান্দাহার ও মাজার-ই-শরিফের দূতাবাস বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নেই। কিন্তু শনিবারই সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। গত বছরের এপ্রিলে কোভিড -১৯-এর কারণে ভারত হেরাত এবং জালালাবাদে কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে নিরাপত্তার কারণে ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছিল।