রাজ্য

কল্যাণের ডিগবাজি, সৌগতের স্বাগত

শুভেন্দুর সঙ্গে দলের সাংসদের সমঝোতা হতেই রামনগরের মেগা শো থেকে তিনি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাড়াননি। আমিও কোথাও যাইনি। তারপরেই সৌগত রায় বলেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নেত্রী হিসেবে মানেন শুভেন্দু। সেটাই প্রকাশ্যে বলেছেন।’‌ আর এক তৃণমূল সাংসদ তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া না থাকলে পুরসভার বাইরে আলু বেচতে হতো, তিনি খেলেন ১৮০ ডিগ্রি ডিগবাজি। হ্যাঁ, তিনি শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‌আমি খুব খুশি। শুভেন্দুর বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি নিজে শিশির অধিকারীকে পিতৃস্থানীয় হিসেবে দেখি।’‌
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের তৈরি হয়েছে দূরত্ব। তা থেকেই নানা টালবাহানা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করছিলেন তিনি। সেখানে বৃহস্পতিবার রামনগরের সভায় শুভেন্দু বলেছেন, ‘‌আমি এখনও একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। মন্ত্রী করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উনিও আমায় তাড়াননি। আমিও কোথাও যাইনি।’‌ তারপর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে।
শুভেন্দুর মান ভাঙাতে তৃণমূল দুই সাংসদকে দায়িত্ব দিয়েছিল। এই দু’‌জন হলেন সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজ তাঁরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। তারপরই এমন মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতাকে স্বাগত জানাই। আমরা খুব খুশি। যে কথা শুভেন্দু অধিকারী গত সোমবার আমার সঙ্গে বলেছিলেন, সে কথা রেখেছেন। উনি বলে দিয়েছেন দল ছাড়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী হিসেবে দেখেন। তার পুনরাবৃত্তিই করছেন জনসমক্ষে।
কিছুদিন আগে শুভেন্দুর নাম না নিয়ে নিশানা করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তিনিই এদিন বলেন, ‘‌আমি খুব খুশি। ওঁর প্রতিটা কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি। শিশির অধিকারী পিতৃস্থানীয়। শ্রদ্ধা করি। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের প্রতি ভালবাসা আছে। একটা রাজনৈতিক দলে সবাই মিলে আন্দোলন করে সার্থকতা পাওয়া যায়। তৃণমূল কংগ্রেসেও হয়েছে। চমকাইতলা, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর হয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর সহযোগী আমরা। নন্দীগ্রামে যেমন শুভেন্দু, সিঙ্গুরে বেচারাম। আমি ঢাক বাজাই না, বুকও বাজাই না সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে আমারও কিছু ভূমিকা রয়েছে। আজকে শুভেন্দু যা বলেছে, দলের জন্য ভালো।’‌