মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথের দিন থেকে নবান্ন–রাজভবন সংঘাত শুরু হয়েছিল। এবার তা চরম আকার নিল। বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। কোচবিহার–সহ ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গেও কথাও বলবেন তিনি। মঙ্গলবার রাজ্যপালের শীতলকুচি সফর ঘোষণার পরই একের পর এক টুইট করে রাজ্যপালকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেছেন, তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন থেকেই রাজ্য সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন রাজ্যপাল। বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করছেন। মমতা যেদিন শপথ নেন সেদিন রাজ্যে ৬টি রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছিল। কেউ মারা যাননি। গত ৬ মে ও ৭ মে রাজ্যে ৪টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। কেউ মারা যাননি।
আর গত ৫ মে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে তৃণমূল সাংসদের দাবি, তখন রাজ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসায়। ৫ মে–র পর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার উন্নতির কথা না বলে রাজ্যপাল জনগণের সরকারের সমালোচনা করে চলেছেন এবং বিজেপির পক্ষে কথা বলছেন। খোদ কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশাংসা করেছে।
বুধবার রাজ্যপালকে সরাসরি তোপ দেগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘যতদিন আপনি রাজ্যপাল আছেন ততদিনই আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করে গিয়েছেন। কিন্ত এবারের নির্বাচনে বাংলার মানুষ আপনার ক্ষোভের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই জনাদেশ থেকে আপনার কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। আপনি যা করছেন তা একেবারে অনৈতিক। বিজেপির হয়ে কথা বলবেন না। সংবিধান অনুযায়ী কাজ করুন।’