শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভায় শুভেন্দুর দেওয়া তিন তারিখ নিয়ে তাকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গত শুক্রবার বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেডিয়ামে জনসভা করে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে নিশানা করেন। রবিবার তারই পাল্টা সভায় শুভেন্দুর তিন তারিখ নিয়ে তুলোধোনা করেন কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোহম চক্রবর্তী।
এদিন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী তিনটি দিন উল্লেখ করে বলেছিলেন ধামাকা হবে। আমরা ধামাকা সেল শুনেছি। এ আবার কেমন ধামাকা। প্রথম দিন সিবিআই হেফাজতে একজনের মৃত্যু হল। সেটাই কী ছিল ধামাকা? দ্বিতীয় ধামাকা ছিল আসানসোলে কম্বল বিতরণের নামে গরীব মানুষকে পদপিষ্ট করে খুন করা। তৃতীয় ধামাকার দিনে তিনি আর কত মানুষকে খুন করবে বিজেপির ওই নেতা?”
সায়ন্তিকার বক্তব্যেও এদিন ছিল শুভেন্দুর দিন রাজনীতির প্রতি তীব্র কটাক্ষ। হিন্দি সিনেমার ডায়লগ উদ্ধৃত করে সায়ন্তিকা এদিন বলেন, “তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ মিলতি গয়া মগর ইনসাফ নাহি মিলা। বিজেপিকা ডিসেম্বর ধামাকা নাহি মিলা, মিলা স্রিফ তারিখ। শুভেন্দু অধিকারী মিডিয়ার ও মানুষের নজর ও আগ্রহ টানতেই এমন করছেন।”
অপরদিকে সোহম চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের সব থেকে বড় মানসিক ভারসাম্যহীন দাবী করে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী এখন ভণ্ড বাবার রূপ নিয়েছে। শুভেন্দুও সেই বাবার মতো হাত দেখে একের পর এক তারিখ দিয়ে চলেছেন। কিন্তু তাঁর একটা তারিখও মিলছে না। ১২ ও ১৪ গেল কিছু হলনা, গত দুদিনের ফল বলছে যে ২১ আসছে তাতেও কিছু হবে না।” প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সোহমের নিদান, শুভেন্দু এরপর মঞ্চ ঠেকে ‘ভাইপো’ বলে ডাকলে আপনারা তাঁকে ‘মালপো’ বলবেন।