আমফানের ত্রাণ নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার আমফানের ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনকী তালিকা তুলে নাম দেখিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন জ্যোতিপ্রিয়। একই অস্ত্রে বিজেপিকে বিধঁলেন খাদ্যমন্ত্রী। ফলে গ্রামীণ রাজনীতিতে এখন আমফান ত্রাণ–দুর্নীতি নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে।
খাদ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি নেতারা কী বলতে হয়, কী হয় না সে সব ভুলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তাদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস একাই দুর্নীতি করেছে। আর কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। আমরা এটা সাহস করে বলতে পারি যে আমরা একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা তার কর্মীকে শাসন করতে পারি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। আর কোনও রাজনৈতিক দলে নেই।’ এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট তৃণমূল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, আমি তিনটে জায়গার কথা উল্লেখ করছি। গাইঘাটা বিধানসভার ধরমপুর দু’নম্বর অঞ্চলে নীলাদ্রি ঢালী, ভোলানাথ বিশ্বাস, প্রদীপ দেব নাথরা এরা প্রত্যেকেই টাকা নিয়েছে। কারও বাড়ি ভাঙেনি। সব আত্মীয়–স্বজনদের পাইয়ে দিয়েছে। এরা বিজেপি’র বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের কলিয়ারা দু’নম্বর অঞ্চলের মানুষ। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। তার সঙ্গে বিজেপি নেতা অমৃত বিশ্বাস, বিভা মজুমদার, এরা যুক্ত। বিজেপি’র নাম দুর্নীতিতে আছে বললেও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কেউ মন্তব্য করেনি।
এমনকী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পরিসংখ্যান দেন, পঞ্চায়েত সদস্য জিতু বিশ্বাস সাতখানা ঘর নিয়েছে (২০,০০০ করে), কিশোর বিশ্বাস উপপ্রধান দুটি ঘর নিয়ে নিজের আত্মীয়কে দিয়েছে, ক্রিস্টি বিশ্বাস পঞ্চায়েত সদস্য চারটে ঘর নিয়েছে, সমীর মন্ডল পঞ্চায়েত সদস্য পাঁচটি ঘর নিয়েছে, পিন্টু বিশ্বাস পঞ্চায়েত সদস্য পাঁচটা ঘর নিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্য অনামিকা বিশ্বাস তিনটি ঘর নিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্য রিতা ঘরালু পাঁচটি ঘর নিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্য সরস্বতী বিশ্বাস পাঁচটি ঘর নিয়েছে। বিজেপি কী স্টেপ নেবে নিক। আমরা সমস্ত কাগজ পুলিশকে দেব। আমরা যেমন আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে স্টেপ নিচ্ছি। বিজেপিও করুক।