এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সোমবার সকাল ১০ টায় তাঁকে তলব করা হয়েছিল। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি বিভিন্ন নথি সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে পিএসসি-র সদস্য হন বালুর দাদা দেবপ্রিয়।
একজন সরকারি কর্মী না হয়েও কিভাবে তিনি পিএসসি-র সদস্য হন? তা নিয়েই ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেসময় পরীক্ষায় শূন্য থেকে নম্বর বেড়ে হয় ১৬২। এরপর এই দুর্নীতির কারণে একটি মামলাও দায়ের হয়। এখনও পর্যন্ত সেই মামলার কেন তদন্ত হয়? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দুটি কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। দু’টি কোম্পানি বাঁকুড়ার ঠিকানায় রেজিস্টার্ড বলেই জানা গিয়েছে। শুক্রবারই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত ইডিকে জানিয়েছিলেন, ওই সংস্থা দুটি থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে ২০ কোটি টাকা সরানো হয়েছিল। এরপরই দুটি কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজ করে ইডি।
ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ২০টিরও বেশি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এই মোবাইলগুলি যেমন বনমন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের রয়েছে, তেমনই বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠদেরও মোবাইলও রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই মোবাইল ডি-কোড করে তথ্যের সন্ধান শুরু করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই মোবাইলগুলির মধ্যেই রেশন দুর্নীতির সমস্ত তথ্য লুকিয়ে রয়েছে বলেই দাবি ইডির।