অভিযোগ, চুরির। আর তাতে ধৃত এক নাবালকের পুলিশ হেপাজত। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। ছন্দপতন ঘটল পুলিশের হেপাজতে মৃত্যুকে ঘিরে। আর তার জেরে উত্তেজনা ছড়ালো বীরভূমের মল্লারপুরে। পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে নাবালকের এই অভিযোগে, থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০ অক্টোবর একটি বাড়িতে চুরির অভিযোগ বৃহস্পতিবার মল্লারপুর থানার পুলিশ ১৫ বছরের ওই কিশোরকে জুভেনাইল ধারায় গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, ওই রাতে সে শৌচাগারে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর শৌচাগার থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ নাবালকের পরিবার। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। ধৃতকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে তার প্রতিবেশীরা থানা ঘেরাও করে। এমনকী ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ তুলে নেন।
এই গটনায় আসরে নেমেছে বিজেপি। তারা মল্লারপুর থানা ঘেরাও করেছে। সেখানে পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি’র যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খান। এলাকায় এখন ব্যাপক উত্তেজনা রযেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চেয়ে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও ক্ষোভের আগুন নেভানো যাচ্ছে না। মৃত নাবালকের বাবা বিজেপি কর্মী বলেই এই হত্যা করা হয়েছে বলে বিজেপি’র অভিযোগ।
