পশ্চিমবঙ্গে পাটশিল্পের উৎপাদনের উপরও জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গেও জুট–ক্লাস্টার তৈরি হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কলকাতার উৎপাদন ইতিহাস মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উৎপাদনের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ছিল কলকাতা। আমি মনে করি কলকাতা ফের দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’ বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের ৯৫তম বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আইসিসি–কে অভিবাদন জানান। তিনি বলেন, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। ৯৫ বছর ধরে দেশের সেবা করা যে কোনও সংগঠনের ক্ষেত্রে খুবই বড় বিষয়। দেশের জন্য আইসিসি’র অবদান অনস্বীকার্য। এই ৯৫তম বর্ষে যোগদানকারীর প্রত্যেককে আমার অভিবাদন জানাই।
সিঙ্গল ইউজ প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হলে বাংলার লাভ সবচেয়ে বেশি হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গের লাভ বেশি। কারণ ওখানকার পাটশিল্পের ব্যাপক লাভ হবে। ভাবুন পশ্চিমবঙ্গের তৈরি পাটের ব্যাগ সারা দেশের মানুষের হাতে থাকলে, রাজ্যবাসী কতটা গর্ববোধ করবেন।’ পাটের প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কেও খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। আর জানান, আমাদের কর্তব্য এটাই মনে রাখা যে প্রচেষ্টার মাধ্যমে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ইচ্ছাশক্তিই আমাদের ভবিষ্যৎ স্থির করে। যে আগেই হার মেনে নেয়, তার কোনও আশা বা সুযোগ আসে না। কিন্তু যে চেষ্টা করতে থাকে, তার সামনে অনেক সুযোগ আসতে থাকে।
বিশ্বের জোগানে শৃঙ্খলা ভারতকে এগিয়ে যেতে, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের পাশাপাশি ‘পিপল, প্ল্যানেট এবং প্রফিট’— এই তিন বিষয় একসঙ্গে নিয়ে চলার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিপর্যয়ের একটিই ওষুধ— মজবুতি। বিপদে নুইয়ে না পড়ে উঠে দাঁড়িয়ে লড়াই করাই ভারতের প্রচেষ্টার নিদর্শন। আইসিসি-ও সেই প্রচেষ্টার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।