ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

এজলাসে বসেই হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট জেনারেল তথা ‘বন্ধু’ কিশোর দত্তর কাছে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজে থেকেই বললেন, “রাগের মাথায় অনেক কথা বলে দিয়েছি। বন্ধু কিশোর এর (কিশোর দত্ত) কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”

বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সরব হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এজির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বিচারপতিকে। সেই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে চিঠিও দিয়েছিলেন তাঁরা। এজির উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘কলকাতা হাইকোর্টের অবমাননা’ বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন আইনজীবীদের ওই অংশ।

মঙ্গলবার বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,”আপনারা জানেন না কিশোর আমার কত উপকার করেছে। এমনও হয়েছে কিশোর এবং আমার আর এক বন্ধু না থাকলে আমি মরেই যেতাম!”

বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই তাঁর এজলাসে আসেন এজি। তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন,”কয়েকদিন আগে আমি আপনাকে অনেক কিছু বলেছি। আমি আপনাকে বহু বছর ধরে চিনি। প্রায় ৩৭ বছর হবে আমাদের পরিচয়। আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি খুবই দুঃখিত।” তিনি আরও বলেন,”সে দিন আমি যা বলেছিলাম, আপনি পাল্টা তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। তবে আমার কথাগুলো ছিল ক্রোধের বশে। আপনার উদ্দেশে কিছু বলার মানসিকতা আমার ছিল না।”

রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তির অনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় গত ২৪ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে দিনই ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন। পরের দিন অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি সকালে সিবিআইয়ের করা এফআইআরও খারিজ করে দেয় বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি উদয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।

এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেন, বিচারপতি সেন ‘রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা’ ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন। যা করছেন, তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নিয়ে করছেন। ভরা এজলাসেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে না? সে সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এজি কিশোর দত্তের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।