কিষাণ নিধি সম্মান চালু না করে বাংলার ৭০ লক্ষ কৃষকের সঙ্গে অন্যায় করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ‘পিসি–ভাইপো’কে হাতজোড় করে বিদায় জানাবে বাংলার মানুষ। শনিবার মালদহের সাহাপুরে কৃষক সুরক্ষা অভিযানে যোগ দিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
তাঁর অভিযোগ, চাপে পড়ে এখন প্রকল্প রূপায়ণের কথা বলছেন। কৃষক সুরক্ষা অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ৩৫ লাখ কৃষক। রাজ্যে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ সব জায়গায় শুধু পিসি আর ভাইপোর ছবি। গোটা দেশ নরেন্দ্র মোদীর সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জেদ’–এর জন্য বাংলার কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে দাবি করেন নাড্ডা।
খিচুড়ি কেমন লাগল? প্রশ্নের উত্তরে বাংলার জামাই নাড্ডা জানালেন, খুব ভালো। সাহাপুরের মাঠে আড়াই হাজার কৃষকের সঙ্গে একসঙ্গে বসে আতপ চালের খিচুড়ি আর পাঁচ তরকারিতে মধ্যাহ্নভোজন করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। কথা বললেন কৃষকদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব–অভিযোগ শুনলেন। দিলীপ ঘোষ বললেন, কৃষকদের উন্নয়নে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার বাংলার কৃষকদের বঞ্চনা করছেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৬০০০ টাকা করে যাতে কৃষকরা পান, তাঁর ব্যবস্থা করব।
এদিন মালদহে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে জেপি নাড্ডার। সকালেই সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারে যান তিনি। সেখানকার গবেষকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘কেন্দ্র কৃষকদের সবরকমভাবে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যেই তাঁদের জন্য একাধিক প্রকল্প আনা হয়েছে। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের আরও উন্নয়ন হবে। এরপরই সেখান থেকে যান সাহাপুর। সেখানে কৃষকদের উৎপাদিত সবজির একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। তা ঘুরে দেখেন নাড্ডা।
সাহাপুরে দাঁড়িয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় বিভিন্ন রাস্তায় মমতাজি ও ভাইপোর ছবি দেখি। হাতজোড় করে তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন। এবার বাংলার মানুষ তাঁদের হাতজোড় করে বিদায় জানাবেন। এখানকার মানুষ আর চাল চোর, ত্রিপল চোরকে চায় না। একুশের ভোটে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে।’