রাজ্য

কালো পতাকায় রুদ্রমূর্তি নাড্ডার

বাংলা সফরে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জেপি নাড্ডা। বুধবার হেস্টিংসের অফিসে ঢোকার সময় প্রায় ৩০–৩৫ জন ওই বিজেপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন। এমনকী দেখানো হয় কালো পতাকা। তারপরও দমে না গিয়ে দাবি করেন, বিরোধীদের কোনও হিসেব মিলবে না। একুশে বাংলায় ক্ষমতায় আসছে বিজেপি।
বুধবার সাড়ে ১২টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি’‌র সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অনুপম হাজরা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকে তাঁরা রওনা দেন হেস্টিংয়ের অফিসে। হেস্টিংসে তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসেন বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভে অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে পড়ে পুলিশও। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
এরপরই তোপ দেগে নাড্ডা বলেন, ‘‌রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের সঙ্গে ধৈর্য ধরতে হবে। কেউ এই রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে পারবে না। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে অনেকেই অনেক কথাই বলেছিল। অনেক সেফলজিস্ট ভবিষ্যবাণী করেছিলেন, এবার বিজেপি’‌র কোনও চান্স নেই। বিহারের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতবাণী যারা করেছিলেন তারা জানত না কেন্দ্রে রয়েছে মোদীজির সরকার।’‌
সুর চড়িয়ে জেপি নাড্ডা জানান, মমতা অসহিষ্ণুতার কথা বলেন। বাংলায় বিজেপি ২০০ বেশি আসন পাবে। সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি। মমতা সরকারকে উৎখাত করবে। বাংলায় বিজেপি আসবেই। ৩০ জুলাই ইদের ছুটি, অথচ রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন লকডাউন?‌ সবারই ইদ উদযাপন করা উচিত। আমাদের সরকার যেখানে যেখানে সেখানেও ইদ পালন করি। কিন্তু রাম মন্দিরের শিলান্যাসের দিন এই রাজ্যে লকডাউন! কেন?
মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, তেলঙ্গানা, হায়দরাবাদের পুরসভা নির্বাচন, রাজস্থানে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের নির্বাচনের ফল দেখুন। বিহারে আমরা ৭৪ আসন জিতেছি। সব জায়গায় জিতেছে বিজেপি। এই রাজ্যেও বিজেপিকে থামানোর মতো কোনও শক্তি নেই বলে জানান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। যদিও বনগাঁ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‌এই রাজ্যে ৮ বছরে যা উন্নয়ন করেছি তা গোটা পৃথিবীতে কেউ করতে পারেনি।’‌