আফগান জনতার এখন কঠিন অবস্থা। ‘স্বপ্নের দেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে আমেরিকা এখন ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী পার।’ যুদ্ধজর্জর দেশটিতে এখন শুধু বারুদের গন্ধ। আর ঘরে ও বাইরে প্রবল সমালোচনার মধ্যে আফগানভূমের এই পরিণামের ‘দায় স্বীকার’ করলেও সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বাইডেন বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের সব দায়িত্ব আমার। কেউ কেউ বলবেন এটা আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। তাতে অবশ্য আমি একমত নই। তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার করলে সে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত। আমার বিশ্বাস, এটা নির্ভুল, বিচক্ষণ এবং সেরা সিদ্ধান্ত। আমেরিকানদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যুদ্ধ শেষ করব। তাকে সম্মান করেছি।’
মার্কিন জনতার একাংশ ও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন যে তড়িঘড়ি মার্কিন সেনা ফিরে যাওয়ায় আজ আফগানিস্তান তালিবানের দখলে। তাদের বক্তব্য, ২০ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেও হামিদ কারজাই ও আশরফ ঘানির সরকার আসলে ছিল প্রবল দুর্নীতিপরায়ণ। কাগজে কলমে আফগান ফৌজের সংখ্যা ৩ লক্ষ হলেও ময়দানে সেই সংখ্যা কতটা ছিল তা নিজেরাই জানতেন না দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে থাক কমান্ডাররা।
আফগানিস্তান থেকে সেনা সরালেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘ময়দানে মার্কিন বুট (সেনা) না থাকলে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চলবে।’ সবমিলিয়ে, আফগানিস্তানে অরাজক পরিস্থিতির নিয়ে নিজের সমর্থনে যুক্তি খাঁড়া করলেও দায় নিতেই হবে বাইডেনকে।