বারাক ওবামার ডেপুটি থাকাকালীন অনেকবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার মোদীকে ফোন করলেন জো বিডেন। নয়াদিল্লির লোককল্যাণ মার্গের সঙ্গে কথা হল হোয়াইট হাউসের। বাড়িতে সময় কাটিয়ে সদ্য সাদা বাড়িতে ফিরেছেন প্রেসিডেন্ট বিডেন। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে টেলিফোনে কূটনৈতিক দৌত্যে জোর দিচ্ছিলেন তিনি। তবে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথাটা হল সোমবার মাঝরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই টুইট করে বিডেনের সঙ্গে কথা এবং দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার কথা জানান। জলবায়ু সুরক্ষায় দুই দেশ পরস্পরকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছে এই কথাও জানিয়েছেন মোদী।
প্রেসিডেন্ট পদে বসার জন্য বিডেনকে মোদী শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। মোদী বলেন, ‘ওঁর সাফল্য কামনা করেছি। স্থানীয় বিষয়ে এবং আমাদের যৌথ প্রাধান্যের বিষয়ে কথা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দু’ দেশের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে ঐক্যমত্য হয়েছি আমরা।’ ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে আশু কর্তব্য নির্ধারণেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ওই অঞ্চলে চিনের কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি, হোয়াইট হাউসের মসনদে বসেন বিডেন। সেদিন পর পর টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী। লিখেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত। দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ককেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে দুই দেশ। তবে সরাসরি কথা হল এই প্রথম। গত কয়েকদিনে বিডেন ফোনে কথা বলেছেন, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ন্যাটো’র সেক্রেটারি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তবে চিনের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি তাঁর।
