জেলা

বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি

এবার বীরভূম থেকে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতের নাম নাজিবুল্লা। বীরভূমের পাইকর এলাকার বাসিন্দা। বাড়ি থেকে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে জেএমবি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ধৃতের উপর নজরদারি চলছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা গ্রেপ্তার করা হয় ৫০ বছরের নাজিবুল্লাকে।
তদন্তকারীদের দাবি, বীরভূমের পাইকর এলাকায় একটি ছাপাখানা চালাত নাজিবুল্লা। সেই ছাপাখানা থেকে বেশ কয়েকটি ইসলাম সম্পর্কিত বই মিলেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক ইলেকট্রিক গেজেটও। ফেসবুকে আবার সাকিব আলী নামে একটি অ্যাকাউন্ট চালাত ধৃত ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ–ইসলাম সম্প্রদায়ভুক্ত বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ করত সে। যুবক সমাজ ইসলামিক মনোভাবাপন্ন করে তোলার কাজও।
এসটিএফ সূত্রে খবর, খাগড়াকাণ্ডের পর থেকেই এসটিএফের নজরে ছিল বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার কাবিলনগরের বাসিন্দা নাজিবুল্লা। তাকে নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। এসটিএফের তরফে যোগাযোগ করা হয় পাইকর থানার সঙ্গে। সাকিব আলি নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে নাজিবুল্লার। সেখান থেকে দেশবিরোধী নানা প্রচারের অভিযোগও ওঠে ধৃতের বিরুদ্ধে। পাইকর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, নাজিবুল্লার আচরণের উপর নজর রাখতে। এরপর বৃহস্পতিবার বীরভূমের কাবিলনগরে পৌঁছয় এসটিএফের আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করা হয় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে। গ্রেপ্তারির পাশাপাশি একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিপিইউ–সহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক গেজেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হুগলির ডানকুনি থেকে জেএমবি’‌র এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এলাকা থেকে জেএমজি সন্দেহে ব্যক্তির গ্রেপ্তারির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। ছাপাখানা লাগোয়া ছোট্ট চায়ের দোকানের মালিক নাজিবুল্লা, যার সঙ্গে দিনরাত দেখা হত এলাকার মানুষের, সে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত তা ভাবতেই পারছেন না প্রতিবেশীরা।