রাজ্য

বিস্ফোরক জিতেন্দ্র ইস্তফা দিলেন

তৃণমূলের বেসুরো তালিকায় এবার আসানসোলের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিস্ফোরক চিঠি পাঠিয়েছেন জিতেন্দ্র। রাজনৈতিক কারণে আসানসোল পুরনিগমকে ২০০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। নিজের দলের সরকারের মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিস্ফোরক এই অভিযোগ জানানোর পর সরকারি সুপারিশে প্রাপ্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আসানসোল পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
পুরমন্ত্রীকে আসানসোলের পুরপ্রশাসক লিখেছেন, রাজ্যের সিদ্ধান্তেই কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল। মেলেনি স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দু’‌হাজার কোটি টাকা।উন্নয়নে রাজ্যের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়িত হয়নি। রানিগঞ্জ গার্লস কলেজ ও রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজের গভর্নিং বডি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
তাঁর ইস্তফার খবরে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ইস্তফা প্রত্যাহার করতে হবে জিতেনবাবুকে। এদিন উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে দেওয়া ইস্তফাপত্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারি লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে রানিগঞ্জ মহিলা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি।’ জিতেন্দ্রর চিঠি নিয়ে তুঙ্গে তরজা। ঘটনায় বাবুল সুপ্রিয়র প্রতিক্রিয়া, ‘‌সাহসের পরিচয় দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আগেও এই বিষয়ে একাধিকবার ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখেছি। কাজের কাজ কিছু হয়নি।’‌
সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আসে সেই চিঠির বয়ান। তাতে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য আসানসোলকে নির্বাচিত করেছিল। এই প্রকল্পের অধীনে ২,০০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল পুরনিগমের। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই টাকা নিতে দেয়নি রাজ্য সরকার। বদলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বললেও সেই ক্ষতিপূরণ এখনও দেননি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‌স্মার্ট সিটির প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারে পুরোটাই ভাঁওতা। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ শতাংশ দেবে রাজ্য সরকার দেবে ৫০ শতাংশ। ওটা প্রচার মাত্র। পুরসভাকেই উদ্যোগ নিতে হয়। উনি কতটা উদ্যোগ নিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তবে আমরা কোনওদিনই উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতি মেশাইনি।’‌