একপ্রস্থ লোক হাসিয়ে শেষমেশ বিজেপিতে যোগ দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মঙ্গলবার হুগলির বৈদ্যবাটির সভায় পদ্মপতাকা হাতে নিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। বৈদ্যবাটির জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নেন তিনি। মাস তিনেক আগেও তাঁর বিজেপি–যোগের সম্ভাবনা প্রকট হয়। তবে তখন যোগদান আটকে যাওয়ায় তিনি ফের তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা দেখিয়ে তৃণমূলেই রয়ে যান।
কিছুদিন আগে স্মার্টসিটি নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়েছিলেন আসানসোলের তৎকালীন প্রশাসন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তখন থেকেই তাঁর সংঘাতের সূত্রপাত। ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিজেপিতে আসতে পারেন বলে শুরু হয় জল্পনা। তবে আপত্তি জানান বাবুল সুপ্রিয়, অগ্নিমিত্রা পল এবং সায়ন্তন বসুরা। কলকাতায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ওই বৈঠকের পর জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়ে দেন, দিদিকে দুঃখ দিয়ে পৃথিবীতে বাঁচতে পারব না। দলেই আছি। দল ছাড়ছি না। ইস্তফা গ্রহণ না করতে অনুরোধ করব। দিদির কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেব।
সূত্রের খবর, তৃণমূলে নিজের পুরনো জায়গা উদ্ধার করতে না পেরে ‘ঘর ওয়াপসি’র পরেও তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। উল্টো দিকে জিতেন্দ্রর উপর সম্ভবত পূর্ণ আস্থা ফেরেনি তৃণমূল নেতৃত্বের৷ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলে তাঁর টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না বললেই চলে। তাই এই দলবদল বলে মনে করা হচ্ছে। গত মাসে তাঁকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। মনে হয়েছিল, দলের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে ফেলেছেন জিতেন্দ্র। তবে দু’সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই দলবদল করলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।