ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগ নিচ্ছে বনদপ্তর। নতুন প্রাণী আনা থেকে শুরু করে পাখিদের জন্য বিশেষ খাঁচা তৈরি করা হবে। থাকছে অন্যান্য বিভাগও। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভি কে যাদব বলেন, ‘এই প্রাণীশালার জন্য অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। একটা বিস্তারিত প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।’
সুন্দরবন ঘুরতে গেলে পর্যটকদের অন্যতম ঘোরার জায়গা এই পুনর্বাসন কেন্দ্র। অনেকেই ঠাট্টা করে বলেন, সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘ দেখা না গেলেও, এই মিনি চিড়িয়াখানায় খাঁচায় বন্দি বাঘ দেখে স্বাদ মেটাতে হয়। কিন্তু ইদানীং এই জায়গা নিয়ে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল পর্যটকদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে ভিতরে ঢুকলে সেরকম দেখার কিছু নেই। তিনটি বাঘ এবং কুমির ছাড়া কিছুই নেই। হরিণ থাকলেও, প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ফলে পর্যটকরা এসে হতাশ হচ্ছেন। এই পুরো বিষয়টি জেলা বনবিভাগের নজরেও আসে।
এবার আগামীদিনে এই পুনর্বাসন কেন্দ্রের আকর্ষণ অনেকটাই বেড়ে যাবে। বাঘ, কুমির ছাড়া এখানে ফিশিং ক্যাট, লেপার্ড, জঙ্গল ক্যাট ইত্যাদি প্রাণী আনা হবে। ওই বনদপ্তরের কর্তা বলেন, ‘সুন্দরবনের জঙ্গলে যে প্রাণী পাওয়া যায় সেসব এখানে রাখা হবে। এদের এনক্লোজার জঙ্গলের মতো করে তৈরি করা হবে। তবে এইসব জীবজন্তু আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে আনা হবে নাকি ভিন রাজ্য থেকে, সেটা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।’
এই কেন্দ্রে পশুদের হাসপাতাল তৈরি হয়ে গিয়েছে। এতদিন এখানকার জীবজন্তুর চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যেতে হয়। এখানে পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে অনেকটাই সুবিধা হবে। এছাড়া একটি তথ্যকেন্দ্রও নির্মাণ হয়েছে। এই পশুশালায় প্রজনন কেন্দ্রও করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। থাকছে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও।
You must be logged in to post a comment.