রাজ্য

আতঙ্কের মধ্যেই শুরু জয়েন্ট এন্ট্রান্স

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা। যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনেই পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। দেশজুড়ে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র এই ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপও করা হয়েছে। জয়েন্ট–নিট পরীক্ষার্থীদের যাতে সুবিধে হয়, সেই কথা মাথায় রেখে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। গণ পরিবহণ পেতে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য দপ্তর পদক্ষেপ করেছে। সরকারি বাসের পাশাপাশি পরীক্ষার দিনগুলিতে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি এবং অটোরিকশার পরিষেবা নিশ্চিত করতে মালিক সংগঠনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
করোনা আবহে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল একাধিক ছাত্র সংগঠন। কেন্দ্র সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। আর কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দেড়শো শিক্ষাবিদ জানিয়েছিলেন যে, পরীক্ষা আর পেছনো মানে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। এই নিয়ে সাত রাজ্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দরজায় কড়া নাড়ে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মামলার তালিকায় তা না থাকায় গতকাল মামলাটির শুনানি হয়নি। ফলে আজ পরীক্ষা নিতেই হচ্ছে সব রাজ্যকে।
জানা গিয়েছে, বেসরকারি বাস মালিক, ট্যাক্সি মালিক এবং অটোরিকশা ইউনিয়নগুলিকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) পরীক্ষা চলবে। নজর রাখতে হবে, যাতে ওই দিনগুলিতে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন পেতে কোনও সমস্যা না হয়। নিট পরীক্ষার্থীদের জন্য সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বাস, ট্যাক্সি ও অটোরিকশাকে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিতে হবে।
সকাল থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ভিড় জমাতে শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। অবশ্যই শারীরিক দূরত্ববিধিও মানা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তারক্ষীরা সবার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তার পর পরীক্ষার হলে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সব পরীক্ষার্থীদের মাস্ক ও গ্লাভস পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে। নিজের জলের বোতল ও স্যানিটাইজারও আনতে হবে তাঁদের। শারীরিক দূরত্ববিধি যাতে বহাল থাকে সে কারণে এক একটি ক্লাসে মোট বসার আসনের অনেক কম পরীক্ষার্থীকে বসানো হচ্ছে।