দেশ ব্রেকিং নিউজ

সাবেক বাঙালি বেশে শপথে জহর

রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন জহর সরকার। বুধবার সাবেক বাঙালি বেশে সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে শপথ নিলেন তিনি। বাংলায় শপথ বাক্য পাঠ করেন তিনি। দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন প্রাক্তন এই আইএএস। প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকার সোমবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত হন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তিনি। সোমবার জয়ের শংসাপত্র হাতে পেয়েই সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি গিয়েছেন জহর। সেখানেই স্থির হয়, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শপথ নেবেন প্রাক্তন এই আমলা। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে এই অধিবেশন থেকেই সুর চড়ানোর কথা জহর সরকারের।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। এই আসনেই ৯ অগাস্ট উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্য কোনও দল মনোনয়ন পেশ না করায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান জহর সরকার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সেই জহর সরকারের মুখে উঠে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‌দেখা যাচ্ছে জাতীয় স্তরে, রাজ্যস্তরের নেতাদের কাবু করে দিয়েছে। ফাইটিং স্পিরিট কমে গেছে, তাই বেশি সুবিধে পেয়ে যাচ্ছে। আমরা বলছি সাংবিধানিক মূল্যবোধ মানুন, মমতার ফাইটিং সিনড্রোম।’‌
অবশেষে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত, ৬৯ বছর বয়সি বাঙালি আইএএস–কে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিন ভালো সম্পর্ক আদ্যন্ত বাঙালি জহর সরকারের। স্কুল জীবন কেটেছে সেন্ট জেভিয়ার্সে। প্রেসিডেন্সি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। মাস্টার্স করেন সমাজবিদ্যাতেও। বিভিন্ন বিষয়ে সাসেক্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিও পান।