দেশ ব্রেকিং নিউজ

দিল্লি ঘুরে দার্জিলিংয়ে রাজ্যপাল

বুধবার দিল্লি সফরে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। তার পরেই গোটা নভেম্বর মাস তিনি শৈলশহর দার্জিলিঙের রাজভবনে কাটাবেন। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা। ২৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ওই বৈঠক হবে। নভেম্বর মাস পাহাড়ে কাটাবেন রাজ্যপাল। তার আগে ওই বৈঠক ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
জগদীপ ধনকারের টুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছে, দিল্লি সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। ২৮ অক্টোবর বিকেলে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ২৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক। বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং। রাজ্যের শাসকদলের প্রতি তাঁর এই পক্ষপাতিত্ব ঘিরে ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এই পরিস্থিতিতে স্বয়ং রাজ্যপাল টানা একমাস দার্জিলিঙে কাটানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বাংলায় রাজ্যপাল–রাজ্য সংঘাত লেগেই রয়েছে। কখনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করেছেন, কখনও আবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন জগদীপ ধনকার। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে অতিসক্রিয়তার নালিশ করেছে রাজ্য সরকার। রাজনৈতিকভাবেও ধনকারের মোকাবিলা করেছে তৃণমূল। রাজ্যপালকে আরএসএস–বিজেপি’‌র লোক বলে কটাক্ষ করেছেন নেতানেত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, একমাস পাহাড়ে রাজ্যপাল শুধুই ছুটি কাটাবেন? নাকি শাহের নির্দেশ নিয়েই পাহাড়ে উঠবেন?
পুজোর আগে রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। তবে তাঁর জায়গায় এসেছিলেন বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নভেম্বর মাসে রাজ্যে আসতে পারেন শাহ। বসবেন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। দিল্লি থেকে ফিরে একদিন বিশ্রাম নেওয়ার পরেই ১ নভেম্বর দার্জিলিঙের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাজ্যপাল। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর ঠিকানা হবে দার্জিলিঙের রাজভবন। বিনয় তামাং বনাম বিমল গুরুংয়ের দ্বৈরথে উত্তেজনার পারদ চড়া শৈলশহরে ঠিক এখন নিছক ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল, তা মানতে নারাজ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।