সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের আইটিআই ও পলিটেকনিক কলেজগুলি। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতর এই নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু অন্যান্য কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে সেটা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ফলে পড়ুয়া ও অভিভাবক মহলে জমছে ক্ষোভ।
রাজয়েট কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, স্যানিটাইজেশনের পর সোমবারই পুরোদস্তুর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস শুরু করে দেওয়া হবে। পড়ুয়ারাও নিজেদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, পরিকল্পনা মতো কলেজে যাওয়া শুরু করবেন। তাঁর দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনই সকলকে নিয়ে ক্লাস শুরু হবে না। নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস হবে। অর্থাৎ, সপ্তাহভর রোটেশন পদ্ধতিতে ক্লাস করবে পড়ুয়ারা। আইটিআই ও পলিটেকনিক কলেজগুলি খুলে দেওয়ার পিছনে রাজ্যের যুক্তি হল, এই ধরণের প্রতিষ্ঠানে মূলত হাতে কলমেই শিক্ষাদান করা হয়। তাই অনলাইনে এটা করা সম্ভব হচ্ছে না। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পঠন পাঠনে সমস্যা হচ্ছিল পড়ুয়াদের। অবশেষে সোমবার থেকে কোভিডবিধি মেনে খুলতে চলেছে রাজ্যের শ’দেড়েক আইটিআই ও পলিটেকনিক কলেজ। যেখানে প্রায় ৩০ হাজার পড়ুয়া পড়াশোনা করে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কী হবে? পুজোর পর স্কুল খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, পুজোর ছুটি মিটিয়ে ভাইফোঁটার পর রাজ্যের সমস্ত স্কুল খুলে দেওয়া হতে পারে। সেই মতো স্কুল শিক্ষা দফতরকে তৈরি থাকতে বলেছিল নবান্ন। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করে সেটা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষামহলের মতে, সবদিক বিবেচনা করে পুজোর পর খুলতে পারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।