দেশ ব্রেকিং নিউজ

ইসরোর বিজ্ঞানীকে হত্যার ছক!‌

খাবারে বিষ মিশিয়ে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁকে। এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ইসরোর বিজ্ঞানী তপন মিশ্র। তাঁকে চার বছর আগে কেউ বা কারা বিষ খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিল। তবে কপাল–জোরে তিনি বেঁচে যান। তিনি দাবি করেছেন, ২৩ মে, ২০১৭ সালে তাঁকে প্রাতঃরাশের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। তার পরও তিনি বেঁচে যান। কে বা কারা, কেন তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছিল, সেই সম্পর্কে তিনি কোনও তথ্য দিতে পারেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের মধ্যে দিয়ে গোটা ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। কেন্দ্র সরকারের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদনও জানিয়েছেন ওই বিজ্ঞানী। সেখানেই তিনি জানান, ২০১৭ সালের ২৩ মে অর্থাৎ প্রায় তিন বছর আগে মারাত্মক আর্সেনিক জাতীয় বিষ খাইয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তখন তিনি ইসরোর হেড–কোয়ার্টারে একটি সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তিনি তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁকে খুনের চেষ্টার পেছনে কাদের হাত রয়েছে তা গোটা দেশের জানা উচিত বলে মনে করছেন ইসরোর এই বিজ্ঞানী। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চার বছর আগে কেন তিনি এই নিয়ে মুখ খোলেননি! তপন মিশ্রের দাবি, তিনি চলতি মাসেই অবসর নেবেন। তাই এখন মন খুলে কথা বলতে পারছেন।
তাঁর অভিযোগ, বিকেলের খাবারে তাঁকে ধোসা পরিবেশন করা হয়। ধোসার সঙ্গে দেওয়া চাটনিতেই ভয়ানক ওই বিষ মেশানো ছিল বলে অনুমান তাঁর। এমনকী দু’মাস পর অর্থাৎ জুলাইয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সেই ব্যক্তি তপন মিশ্রকে আর্সেনিক বিষের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
তপন মিশ্র আশঙ্কা করছেন, এই দাবি করার পর ফের তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হতে পারে। তাই তিনি সব কিছু প্রকাশ্যে জানিয়ে রাখতে চাইছেন। ২০১৭ সালে তাঁর খাবারের সঙ্গে আর্সেনিক ট্রাইঅক্সাইড মেশানো হয়েছিল। এই বিষ মানুষ মারার জন্য যথেষ্ট। তবে সেদিন কপালের জোরে তিনি বেঁচে যান। টানা দু’‌বছর তাঁকে চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়। এইমস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল। সেই রিপোর্টও তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বিজ্ঞানীর এই দাবি ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ইসরোয় সিনিয়র উপদেষ্টা তপন মিশ্র। মারাত্মক বিষ যে তাঁর শরীরে ঢুকেছিল, তার প্রমাণ হিসেবে নিজের ফেসবুক ওয়ালে মেডিক্যাল রিপোর্টের ছবিটিও পোস্ট করেন বিজ্ঞানী। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইসরো।