আন্তর্জাতিক

অবশেষে যুদ্ধবিরতি, শান্তি গাজায়

টানা দু’‌সপ্তাহ ধরে রাতে জেগে রয়েছেন হাজারো মানুষ। দুই দেশের লড়াইয়ে রোজই রক্ত–গঙ্গা বয়ে গিয়েছে গাজায়। প্রতিপক্ষ ইজরায়েলের উপরও পাল্টা হামলা চালিয়ে গিয়েছে হামাস। ১৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পর অবশেষে ইতি পড়তে চলেছে দুই দেশের মন কষাকষিতে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিশরের মধ্যস্থতা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে একমত হল ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন। রাত দুটো থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পরেই উল্লসিত গাজাবাসী রাস্তায় নেমেছেন আনন্দে। সবার মুখেই আনন্দ এবং স্বস্তির ছাপ। ১১ দিনের এই সংঘর্ষে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজা। জঙ্গি মারার নাম করে ইজরায়েলের যে অভিযান, তাতে গাজার প্রচুর নিরীহ মানুষ এমনকী শিশুও প্রাণ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মিশরের কায়রো থেকে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখার জন্য।
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল গোটা বিশ্ববাসী। কারণ এই যুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা ক্রমাগত বাড়ছিল। দুই দেশের এই যুদ্ধে তুরস্ক, রাশিয়া এবং আমেরিকারও সরাসরি প্রবেশের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গিয়েছিল, যার কারণে এই যুদ্ধটি বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। জানা গিয়েছিল, লেবানন থেকেও ইজরায়েলে একটি রকেট হামলা হয়েছিল।
বরাবরই স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের দাবি করে এসেছে প্যালেস্তাইনের কট্টরপন্থী সংগঠন হামাস। প্রথম থেকেই ইজরায়েলও সাফ জানিয়েছিল, জেরুজালেমকেই তারা রাজধানী হিসেবে চায়। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ, উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত পরিমাণে ধ্বংসলীলা দেখল গাজ়া ও তেল আভিভ। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও দ্রুত সমস্যার সমাধান করে শান্তি স্থাপনের অনুরোধ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, যুদ্ধবিরতি কতটা মানা হচ্ছে সেই দিকে নজর দেওয়ার জন্য দু’জন মধ্যস্থতাকারীকে আপাতত এই অঞ্চলেই রেখে দিচ্ছে মিশর।