The Calcutta Medical College authorities are not taking the kind of protection that doctors should have at this time as directed by the Ministry of Health and Family Welfare, Government of India
রাজ্য লিড নিউজ

দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্তৃপক্ষ, ডাক্তারদের কর্মবিরতি,

সমগ্র পৃথিবীতে এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভারতবর্ষেও তাঁরাই এখন ভগবান। কিন্তু যাদের উপর এই লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ রক্ষার ভার তাঁদের সুরক্ষার দায় কি সত্যি বহন করছে সরকার? তাঁরা নিজেরা কতটা নিরাপদ ?

ধিক ধিক করে ক্ষোভের আগুণ জ্বলতে শুরু করেছিল আগেই। গতকাল তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশান গতকাল জানিয়ে দিয়েছে সরকার তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে ২৩ এপ্রিল তাঁরা কালা দিবস পালন করবেন। এরই মধ্যে আন্দোলনে নামল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেডিক্যালের ইন্টার্নরা জানান তাঁদের যে পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাতে তাঁদের পক্ষে আর কাজ করা সম্ভব নয়।

ইন্টার্নদের দাবি, ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে এই সময়ে চিকিৎসা করার জন্য তাঁদের যে ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত কর্তৃপক্ষ তার কিছুই করছে না। তাঁদের অভিযোগ এখনও স্বাস্থ্যকর্মীদের N95 মাস্ক দেওয়া হয়নি, আইসোলেশনের উপযুক্ত জায়গার অভাব,যাঁরা রোগীদের সংস্পর্শে আসছে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে না পাঠিয়ে, টেস্ট না করিয়ে আবার কাজে যেতে বাধ্য করছে, যা রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি সমাজের পক্ষেও বিপদজনক। অথচ মিডিয়ার কাছে ৫০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে যে খবর দেওয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে প্রসূতি বিভাগে ইতিমধ্যেই ছয়জন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন সেই ইডেন বিল্ডিং এখনও জীবাণুমুক্ত করার কোন ব্যবস্থাই করা হয়নি। বারবার বলার পর যে স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে তাঁদের একটি ঘরে চার জন করে থাকার ব্যবস্থা  হয়েছে এবং একটি মাত্র টয়লেট ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে যা কিনা চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনের উদাহরণ।

সামগ্রিকভাবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগে একাধিক করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে এবং কর্তৃপক্ষের অকর্মণ্যতায় টেস্টিং এর দেরীর জন্য বা কিছু ক্ষেত্রে একেবারে টেস্ট না করার জন্য বিপুল সংখ্যক ইন্টার্ন ও স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রামিত হয়েছেন।  এই পরিস্থিতিতে তাঁরা জানিয়েছেন,’আমরা সব স্বাস্থ্যকর্মীর টেস্টিং, যাঁরা পজিটিভ তাঁদের আইসোলেশন এবং হোস্টেলে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর থাকার ব্যবস্থা, ইডেন বিল্ডিং বন্ধ করে জীবাণু মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আমাদের পরিবারের ও সমাজের স্বার্থে কাজ করা উচিত বোধ করছি না।’

আর যার কথায় সারা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা চলে সেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল মাজি যিনি এস এস কে এম হাসপাতালে কুকুরের ডায়ালিসিস পর্যন্ত করাতে পারেন তিনি কি বললেন? কোন প্রশ্ন করার আগেই জানিয়ে দিলেন,’ আমি মিডিয়ার সাথে কোন কথা বলব না, এমনকি মেডিক্যাল কলেজের বিষয়ে সেখানকার সুপার বা প্রিন্সিপালেরও কোন কথা বলার এক্তিয়ার নেই। কিছু জানতে হলে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হেল্থকে ফোন করুন।’ যিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক সব বিষয়ে কথা বলেন তিনি আজ এরকম পরিস্থিতিতে, অত্যন্ত সংকটকালে নীরব হয়ে গেলেন কেন সেটাই এখন সকলের প্রশ্ন।