মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী গ্রেপ্তার হতে চলেছেন? এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল ইরান। কয়েক মাস আগে মার্কিন ড্রোনের হানায় বাগদাদে নিহত হন ইরানের এক জেনারেল। সেই হামলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট–সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরান। এমনকী ইন্টারপোলের কাছে ট্রাম্পকে ধরার জন্য সাহায্যও চেয়েছে ইরান।
ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হানায় নিহত ইরানের সেনার জেনারেল কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর জন্য দায়ী করে ট্রাম্প–সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তেহরানে। প্রাণ হারান ইরাকের পার্লামেন্টারি বাহিনীর ডেপুটি চিফ আবু মেহদি অল মুহান্দিস’ও। সোলেমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে মধ্যরাতে ইরাকের মার্কিন সেনা ও যৌথবাহিনীর ব্যবহৃত দুই ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র চালায় তেহরান। তাতে কমপক্ষে ৮০ জন মার্কিন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন ইরানের শীর্ষনেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই।
উল্লেখ্য, তেহরানের প্রসিকিউটর আলি আলকাসিমেহর ট্রাম্প ও আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে ৩ জানুয়ারির ওই হামলার দায় চাপিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেমানির মৃত্যু ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ইন্টারপোলের কাছেও নোটিশ পাঠিয়েছে ইরান। তবে ফ্রান্সের লিয়ঁতে ইন্টারপোলের সদর দপ্তর থেকে কোনও মন্তব্য মেলেনি। হোয়াইট হাউজের থেকেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কি গ্রেপ্তার হতে পারেন? এই প্রশ্নের স্বাভাবিক উত্তর অবশ্যই না। তবে ইরানের ওই আইনজীবীর একটি মন্তব্য এক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আলকাসিমেহরের কথায়, প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষের পরও এই মামলা চলবে। ইরানও সহজে ভুলবে না। ইরান ইন্টারপোলের কাছে লাল নোটিস জারি করার কথা বলেছে। এই লাল নোটিশ জারি হলে কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির উপর নজর রাখে। ইরানের এই অনুরোধের পর আলোচনায় বসেছে ইন্টারপোল।