দেশ লিড নিউজ

পুলওয়ামা হামলায় নোটিশ জারি ইন্টারপোলের

ঠিক দু’‌বছর আগের কথা। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু থেকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে পুলওয়ামায় প্রায় ২৫০০ জওয়ানের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জৈশ–ই–মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন। আর সেই হামলার জেরে নিহত হন ৪০ জন জওয়ান। ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়। রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতিও। রবিবার সেই ঘটনারই দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি পালন করা হল।
এই সন্ত্রাসবাদী হামলার দু’বছর পর আজ জৈশ–ই–মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার এবং তার তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে রেড কর্ণার নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা এবং ২০১৬ সালে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে মারাত্মক হামলার থাকার অভিযোগে আজহার ও রউফের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল নোটিশ জারি করেছিল। এবারর নতুন করে নোটিশ জারি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলওয়ামা হামলার পর থেকে এই হাই–প্রোফাইল সন্ত্রাসবাদীরা অনেকেই পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিল। জঙ্গিরা বড় ভুল করে ফেলেছে, খুব বড় মূল্য চোকাতে হবে তাদের। পুলওয়ামা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরেরদিন এই ভাষাতেই নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‌জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতাদের বলতে চাই, তারা বড় ভুল করে ফেলেছে। যার উচিত জবাব আমরা দেব। সবাইকে এই আশ্বাস দিতে চাই যে, এই হামলার পিছনে যারা দায়ী, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবেই।’‌ পুলওয়ামায় হামলার নিন্দা করেছিল বিশ্বের অনেক দেশই। সেই সব দেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী জানান, সব দেশ ঐক্যবদ্ধ হলে সন্ত্রাসবাদ আর থাকবে না।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি বলেছিলেন, হামনে হিন্দুস্তান কো ঘুসকে মারা। পুলওয়ামায় আমাদের সাফল্য ইমরান খানের নেতৃত্বে জনগণের সাফল্য। আপনারা এবং আমরা সবাই ওই সাফল্যের শরিক। পরে হইচই বাঁধতেই নিজের মন্তব্য পরিবর্তন করেন ফওয়াদ বলেন, পুলওয়ামার পরে, যখন আমরা ভারতে ঢুকে তাদের মেরেছি।