করোনাভাইরাস সংক্রমণের এমন অবস্থায় ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর-সর্দি দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে থাকা যায় না। আবার যেহেতু এই সময়টি ঋতু পরিবর্তনের সময়, তাই অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। সেজন্য জ্বর-সর্দি হলেই তা করোনাভাইরাস ভেবে নেবেন না।
চিকিৎসকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গের সঙ্গে করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রায় এক হলেও, খুব সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্যের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাকে আলাদা করা সম্ভব।
ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণ
১। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে ভাব দেখা দেয়।
২। জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিন দিন বা খুব বেশি হলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে।
৩। সামান্য সর্দি ভাব, কখনও কখনও আবার নাক দিয়ে জল পড়ে।
৪। এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে হাঁচি এবং কফসহ হালকা কাশিও থাকে।
৫। সারা গায়ে ব্যথা ও অসহ্য মাথার যন্ত্রণা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাসের পরিচিত লক্ষণ
১। জ্বর
২। শুকনো কাশি
৩। শারীরিক দুর্বলতা
৪। গলা ব্যথা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাসের কম পরিচিত লক্ষণ
১। পা, হাত ও শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা
২। পেট খারাপ
৩। মাথার যন্ত্রণা
৪। স্বাদ ও ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলা
৫। ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া
৬। পায়ের আঙ্গুলে লালচেভাব জন্ম নেয়া বা বিবর্ণতা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাসের গুরুতর লক্ষণ
১। শ্বাসকষ্ট
২। বুকে অসহ্য ব্যথা।
