লাইফস্টাইল

অন্দরে সবুজের ছোঁয়া

ছেলেবেলার দিনগুলো খুব মনে পড়ে। স্কুল থেকে ফিরেই পাশের মাঠে দে ছুট। কী দারুণ সবুজ হয়ে থাকতো চারপাশটা। কখনো সবুজ ঘাসে গড়াগড়ি খেতাম, কখনো আবার সবুজ পাতার আড়ালে খেলতাম লুকোচুরি। সবই এখন শুধুই স্মৃতি। শহুরে রুক্ষতা, দূষণের দৌলতে সবুজগুলো আজ সব ধুসর হয়ে গেছে।

গাছপালার সংখ্যা এতই কম যে, রীতিমতো খুঁজতে হয়। প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ারও উপায় নেই। যত আমরা আধুনিক হয়েছি, ততই নষ্ট করে ফেলেছি প্রকৃতি। যার ফল আজকের এই দূষণের নগরী। পুরো পৃথিবীর ছবি আমরা বদলাতে পারবো না কিন্তু ইচ্ছে করলেই বদলে ফেলতে পারি নিজের চারপাশটা। কংক্রিটের ঘরে নিয়ে আসতে পারি সবুজের ছোঁয়া। চলুন সবুজের অভিযাত্রা শুরু করি নিজ বাড়ির অন্দরমহল থেকে। হোক তা একচিলতে বারান্দা বা বাড়ির একটা ছোট্ট কর্নার, গাছ সাজানোর জন্য তাই যথেষ্ট। ভেবেই দেখুন না, সকালবেলা ঘুম জড়ানো চোখে বারান্দায় এসে দাঁড়ালে যদি চোখের সামনে ফুটে ওঠে সবুজ ক্যানভাস, তা হলে চোখের আরাম তো বটেই সঙ্গে কিন্তু আপনার মনেরও আরাম নেহাত কম হবে না।

বাড়ির সামনে বা পিছনে কিংবা ছাদে যদি বাগান করার অবকাশ থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। সারি সারি টবে লাগিয়ে ফেলুন ফুল আর ফলের গাছ। সঙ্গে দিতে পারেন কিছু ঝুলন্ত পাত্রে মনের মতো গাছ। আপনার ফ্ল্যাটের সীমিত পরিসরেও বানিয়ে ফেলতে পারেন গ্রীন কর্নার। এরজন্য দরকার হয়না তেমন প্রস্তুতির কিংবা খরচও খুব একটা নেই। আপনার ইচ্ছেটাই আসল। বনসাই যদি পছন্দ না হয় তবে হরেক রঙের পাতাবাহার বা লতানো গাছ লাগাতে পারেন।

বসার জায়গা যদি ছোট হয়, সেখানে ঝুলন্ত গাছ দিতে পারেন কিংবা লোহা দিয়ে নিজের পছন্দমতো ওয়াল হ্যাঙ্গিং তৈরি করে নিন। তারপর ছোট ছোট পাত্রে ক্যাকটাস বা মানিপ্ল্যান্ট রাখতে পারেন।

ডাইনিং টেবিলের মাঝখানেও রাখা যেতে পারে বাহারি পটে একটা কি দুটো ছোট্ট গাছ। দরজার ফ্রেমেও দিতে পারেন লতানো গাছ। দারুণ একটা সতেজ আবহাওয়া পাবেন কেউ ঘরে ঢোকার সময়েই।

আজকাল নানা রকম ডিজাইন করা মাটির কলসি পাওয়া যায়, এগুলোতে লাগাতে পারেন আপনার পছন্দের গাছ। আপনার রুচির পরিচয় মিলবে। এমনকি আপনার ফেলে দেওয়া কাঁচের বোতলেও আপনি রাখতে পারেন লতানো গাছ। তাহলে আর দেরি কেন, আজই আপনার অন্দরে নিয়ে আসুন সবুজের ছোঁয়া।