করোনা সংক্রমণ বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় দু’দেশের বাণিজ্যে ভাটা পড়েছিল। তাও প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হতে চলেছে বৈদেশিক বাণিজ্য। করোনার জেরে সাড়ে তিন মাস বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের সাড়ে ৩০০ ব্যবসায়ী চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ব্যাঙ্কের ঋণ–সহ নানা সমস্যা পড়ে ভোগান্তির শিকার হন তাঁরা। অবশেষে আশার আলো দেখা দিয়েছে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে। তাই তাঁরা বলছেন, ‘এদেশ তোমার আমার………..।’
একাধিক ব্যবসায়ীর প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ২৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢুকতে চলেছে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে। চ্যাংরাবান্ধার ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা চান যে সব মন্ত্রী, বিধায়ক, স্থানীয় রাজনীতিক এবং জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বাণিজ্য চালু নিয়ে বৈঠক করেছেন, সাহায্য চেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে চ্যাংরাবান্ধায় আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্য চালুর দ্বার উদ্ঘাটন হোক। ব্যবসায়ীরা বৈঠকে করে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের সম্মতি নিয়ে বাণিজ্যিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সূত্রের খবর, চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে বাণিজ্য চালুর কোনও পত্র তাঁরা এখনও পাননি। পত্র পাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসবেন। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে পণ্যবাহী ট্রাক আসবে ও খালাস হবে, সেই বিষয়টি রয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবস্থা নিতে হবে। এগুলি নিয়ে অবশ্যই তাঁরা বসবেন। তবে আনুষ্ঠানিক পত্র পাওয়ার পর। পণ্যবোঝাই অবস্থায় দীর্ঘদিন ট্রাক আটকে থাকায় অনেক পণ্যের ক্ষতি এবং অনেক পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার বিষয় রয়েছে। সব বিষয় নিয়েও ভাবার আছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
