দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনে হলেও ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রন চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়লেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪১৫। তবে সুস্থতার হারে কিছুটা স্বস্তি মিলছে ভারতে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ১১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখন মোট ওমিক্রনে আক্রান্ত ৩০০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আপাতত ওমিক্রন সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে ১০৮ জন ওমিক্রন আক্রান্ত। এরপরই দিল্লি, সেখানে ৭৯ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই রয়েছে গুজরাট। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৩ জন। দেশের ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ।
কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে, দেশে যারা ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ টিকাপ্রাপ্ত। ১০ জনের মধ্যে ৯ জন টিকা নিয়েও ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংক্রমণ রুখতে কেবলমাত্র ভ্যাকসিনই পর্যাপ্ত নয়। কারণ একাধিকবার অভিযোজিত হয়ে তৈরি হওয়া এই প্রজাতি টিকাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম, বলছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ আরও এক তথ্য সামনে এনেছেন। যা নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। তিনি জানিয়েছেন দেশে ওমিক্রন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে ভারতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের ২৭ শতাংশ রোগীর বিদেশ ভ্রমনের ইতিহাস নেই। অর্থাৎ তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন অন্য কোনও রোগীর সংস্পর্শে এসে।
মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশীর দাবি, ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ডেলমিক্রন’। সেটাই নাকি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ছোটখাটো সুনামি এনেছে। এটিই করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। এর কারণে আগামী দিনে আরো বড় রুপ নিতে চলেছে।